ডিজিটাল আইনের ধারণা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

জনসচেতনতা বাড়াতে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা এবং স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে প্রযুক্তিখাতের অপব্যবহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে ধারণা অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার রাজধানীর তোপখানা রোডের শিশু কল্যাণ পরিষদের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ শীর্ষক নাগরিক ভাবনা আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, ২০১১ সালে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা থ্রিজি চালুর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এর প্রসার ঘটতে শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ও মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি। এদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী ২ কোটি ৮৭ লাখ। এ ছাড়া টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটস আপ, ইমু ব্যবহারকারীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নের পিছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। উন্মুক্ত বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাপক। এ স্বাধীনতা রুখে দেয়া কোনোভাবেই কাম্য নয় বা এ মাধ্যমকে বন্ধ করে দেয়াও কোনোভাবে সম্ভব না।

তারা আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের ই-কর্মাস ব্যাপক প্রসার ঘটছে। আগামীতে আরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আবার মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা, টেলিযোগে হাজারও প্রতারণা, ই-কমার্সের জালিয়াতিতে গ্রাহকরা দিশেহারা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। আমরা চাই এ খাতে একটি মানসম্পন্ন আইন প্রণয়ন হোক যাতে গ্রাহক স্বার্থ, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সামাজিক খাতে বিশৃঙ্খলা রোধ করা যায়।

এ সময় আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রযুক্তি খাতের ব্যবহারকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- তথ্য মন্ত্রণালয়ে গঠিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণকারী ৯ সদস্যের সেলে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও গ্রাহক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; প্রযুক্তি খাতে ব্যবহারকারীদের অধিকার আদায়ের জন্য নতুন ধারা সংযুক্ত করতে হবে; বিনা ওয়ারেন্টে বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুলিশের গ্রেফতারি ক্ষমতা প্রত্যাহার করতে হবে; দ্রুত ফেক আইডি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু, বিএনএ’র মহাসচিব অবসর প্রাপ্ত মেজর ডা. হাবিবুর রহমান, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

এএস/এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।