প্রকৃত কলড্রপ জানাতে অপারেটরদের বিটিআরসির চিঠি
অব্যাহতভাবে কথা বলার মাঝখানে কল কেটে যাওয়া বা কলড্রপের পরিমাণ বাড়ায় গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। গ্রাহকপর্যায়ে অভিযোগ কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কলড্রপ নিয়ে গ্রাহক অসন্তোষ বাড়ায় অপারেটরদের কাছে এর ‘প্রকৃত অবস্থা ও এ সংক্রান্ত অভিযোগ’ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি।
সোমবার পাঠানো বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইল অপারেটরদের কলড্রপ সংক্রান্ত অভিযোগ অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও কথা হয়েছে।
রোববার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে বলেন, ইদানীং লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমরা যারা গ্রামীণফোন ব্যবহার করি, প্রত্যেকটি কলে কলড্রপ হয়। একেকটি কলে ৩, ৪, ৫ বার ড্রপ হয়। এ জন্য বারবার কল করতে হয়। এর সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে।
কলড্রপ নিয়ে সংসদে বক্তব্য দেয়ার পরের দিনই অপারেটরদের চিঠি দিল বিটিআরসি। অপারেটরগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে এমডি, সিইও, চেয়ারম্যানদের নিকট পাঠানো ওই চিঠির জবাব আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে চেয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসি বেঁধে দিয়েছে কলড্রপের হার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হতে পারবে। কিন্তু সাম্প্রতিক যে অভিযোগ বিটিআরসিতে এসেছে তাতে এর বাস্তব চেহারা ভিন্ন বলে মনে করছে সংস্থাটি।
অবশ্য টেলিকম অপারেটররা দাবি করছে, তাদের কলড্রপের পরিমাণ বিটিআরসির বেঁধে দেয়া পরিমাণের মধ্যেই আছে। কিন্তু তারপরও বিটিআরসি একটি কলে ৪ থেকে ৫ বার ড্রপের অভিযোগ পেয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়।
টেলিযোগাযোগ সেবার মান নিয়ে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেবার মান নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসি একে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং তারা ড্রাইভ টেস্টের মাধ্যমে অপারেটরদের সেবার মান পরীক্ষা করে দেখছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবগুলো অপারেটরের কলড্রপের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বিটিআরসি। পরিসংখ্যান মতে, কলড্রপে শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোন, দ্বিতীয় রবি, তৃতীয় বাংলালিংক এবং চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সরকারি অপারেটর টেলিটক।
আরএম/বিএ