ঢাকা শহরে নামছে নতুন সাড়ে চার হাজার বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮

‘প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততাই পারে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে।’ এমন মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘শহরে নতুন সাড়ে চার হাজার বাস নামাতে কাজ করছি। বাসগুলো যাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করতে না পারে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি আছে।’

‘শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগই সড়কের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

সোমবার জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে নগর ভবনের সামনে থেকে সচেতনতামূলক এক র্যালিতে তিনি এসব কথা বলেন।

'আমাদের পথ আমাদের হাতেই নিরাপদ' প্রতিপাদ্য ধারণ করে অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।

মেয়র বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যে কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে সেই কমিটি আগামী দুই বছরের মধ্য সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে কাজ করবে। আমাদের সড়ক ভয়ঙ্কর থেকে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থায় চলে যাচ্ছে। আমরা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিসহ সবাই মিলে সড়কের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে কোম্পানির মাধ্যমে বাস পরিচালনার জন্য আমাকে প্রধান করে ১০টি সংস্থার প্রধানকে নিয়ে কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে।’

সাঈদ খোকন বলেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা এজন্য রাস্তায় নেমেছিলেন। সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। এজন্যও আমাদের কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।’

‘আগামী দুই বছরের মধ্যে ঢাকা ও তার আশপাশের সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। বৃহৎ জনগোষ্ঠী সচেতন না হলে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। গ্রাম থেকে যারা শহরে আসছেন তাদেরও সচেতন করতে হবে।’

ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করা দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, সচিব শাহাবুদ্দিন খান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, নাট্য ব্যক্তিত্ব সারাহ জাকির প্রমুখ।

এএস/এমএআর/জেআইএম

শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগই সড়কের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।