ক্ষমা চাইতে মাসুদা ভাট্টিকে মইনুলের ২৪ ঘণ্টা সময়
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে মাসুদা ভাট্টিকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু এই নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি চ্যানেল একাত্তরের একটি টকশোতে মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর প্রশ্নের মাধ্যমে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন। তাই নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হচ্ছে। অন্যথায় মাসুদা ভাট্টির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
মাসুদা ভাট্টির এমন প্রশ্নে মাধ্যমে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা কেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট হিসেবে গণ্য হবে না এবং মাসুদা ভাট্টির বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিশে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
পরে ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অন্যদিকে মইনুলের একই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামালপুর ও কুড়িগ্রামে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মানহানির মামলা করা হয়েছে।
তবে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল । আর কুড়িগ্রামের মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন তিনি।
এফএইচ/এমবিআর/জেআইএম