ঢাবিতে শোক দিবস পালিত


প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ১৫ আগস্ট ২০১৫

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শনিবার জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল- সকল ভবন ও হলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা প্রভৃতি।

এ উপলক্ষে সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর, বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন শেখ, মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ড ইউনিটের সদস্য প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম, কারিগরি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শাজাহান পাটোয়ারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনের কথা ছিল। সেদিন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হয়নি। এর আগেই তিনি ঘাতকদের নির্মম বুলেটে শাহাদাৎবরণ করেন।

উপাচার্য বঙ্গবন্ধুকে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, অভিধানে যত ভালো গুণ আছে, সবকিছুরই অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি শিক্ষকদের অত্যন্ত সম্মান করতেন। সবাইকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করলেও একজন তরুণ শিক্ষককেও ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করতেন তিনি। শেখ মুজিব অত্যন্ত সৎ, উদার ও সাহসী ছিলেন। সাধারণ মানুষের ভাগোন্নয়নের সংগ্রামে তিনি মৃত্যু, জেল, জুলুমকে কখনো ভয় পাননি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন। আজীবন তিনি আভিজাত্য নিয়ে রাজনীতি করেছেন। ঘাতকদের বুলেটের সামনেও তিনি অবিচল ছিলেন। এই আভিজাত্য নিয়েই তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর বাঙালি জাতিকে বিশ্বাসঘাতকের জাতি হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন।

বিশ্বাসঘাতকের এই অভিধা থেকে  মুক্তি পেতে এবং কৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনা সভা শেষে ‘আরাধ্য বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন করেন। এর আগে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

এমএইচ/একে/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।