বিমানবন্দরে লাগেজ ডেলিভারিতে সফলতা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন যাত্রীরা ফ্লাইট অবতরণের মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় লাগেজ ডেলিভারি পেতে শুরু করেন। সর্বশেষ লাগেজ ডেলিভারি পান সর্বোচ্চ ৭০ মিনিটের মাথায়। দক্ষ জনবলের কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই ক্ষেত্রে সফলতা ৯৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এখন যাত্রীদের ইমিগ্রেশন সম্পন্নের আগেই বিমান থেকে কনভেয়র বেল্টে লাগেজ আসতে শুরু করে। বিমানের এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মাসিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে শাহজালালে মিসহ্যান্ডলিংয়ের দৃশ্য নেই বললেই চলে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানের এয়ারপোর্ট শাখার মহাব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম হাওলাদার।
তিনি বলেন, এয়ারপোর্ট সার্ভিসে কর্মরতদের আন্তরিক চেষ্টায় ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং’ প্রক্রিয়ার উন্নতি সম্ভব হয়েছে। অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার ও কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণের ফলে এই সফলতা এসেছে।
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজের জন্য এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় না। মাত্র ২০ মিনিটে লাগেজ পাচ্ছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিববহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাজাহান কামাল বলেন, এয়ারপোর্টে যাত্রী সেবা বাড়াতে শত কোটি টাকার হ্যান্ডেলিং সাপোর্ট যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে।
তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি সব ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করে বাংলাদেশ বিমান। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের হয়রানি কমাতে একাধিকবার নানা উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টায় আমরা সফল হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিনিময় যাই পাক কাজের ক্ষেত্রে ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা খুবই মনোযোগী। তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাভ বাড়লেও বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ষড়যন্ত্র। রাশেদ খান মেনন বিমান পরিবহন মন্ত্রী থাকাকালে সিলেটে ফ্লাই দুবাইয়ের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ারওয়েজকে দেয়া চূড়ান্ত করেন। তখন বিমানের স্বার্থ রক্ষা না করে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানায় বিমান শ্রমিক লীগ- সিবিএ।
গ্রাউন্ড হ্যাহ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৬ মার্চ সকালে রাশেদ খান মেনন যখন সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন, সে সময় বিমান শ্রমিক লীগ (সিবিএ) সভাপতি মশিকুর রহমান বিমানকর্মীদের নিয়ে মন্ত্রীর যাত্রায় বাধা দেন। তারা বিমানের বিপক্ষে অবস্থান না নিতে মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
এরপর অনেক নাটকীয়তা শেষে রাশেদ খান মেনন নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন এবং সিলেটে গিয়ে জানান, ফ্লাই দুবাইয়ের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বিমানই করবে।
এ বিষয়ে বিমান শ্রমিক লীগ (সিবিএ) সভাপতি মশিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মন্ত্রীকে স্বার্থান্বেষী একটি মহল ভুল বুঝিয়ে সিলেটে ফ্লাই দুবাইয়ের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব রিজেন্ট এয়ারওয়েজকে দিতে চেয়েছিল। বিমান শ্রমিক লীগ বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি এবং মন্ত্রীকে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, এ খাতে বিমানের আয় বাড়ছে। ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। আগামীতেও কোনো ষড়যন্ত্র হলে বিমান শ্রমিক লীগ তা প্রতিহত করবে।
আরএম/এমএমজেড/এমএস