‘৮৭ জনের জন্য গড়ে সরকারি পানির উৎস একটি’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপনের পরিবেশ নিশ্চিতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে বাংলাদেশ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে প্রতি ৮৭ জনের জন্য সরকারি পানির উৎস (হ্যান্ড টিউবওয়েল ও উৎপাদক নলকূপ) রয়েছে একটি। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি বিশুদ্ধ পানীয়ে উৎসের ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করছি।’
‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৮’ উদযাপন উপলক্ষে সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন চত্বরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি সুমি চক্রবর্ত্তী এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমানসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দফতরের প্রতিনিধিরা।
মন্ত্রী বলেন, সরকার গত ১০ বছরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎসের জন্য প্রায় ৩ লাখ হ্যান্ড টিউবওয়েল এবং ১ হাজার ১৬৬ টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন করেছে। নিরাপদ পানির উৎসবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৬ হাজার ১৮৪ টি টিউবওয়েল ও ২৬ হাজার ৮০৯টি ওয়াশব্লক নির্মাণ করেছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক উপায়ে হাত ধোয়ার বিষয়টি অপরিহার্য। নিউমোনিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস, কৃমির মতো রোগের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে সঠিক উপায়ে হাত ধৌতকরণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘হাত ধোব নিয়মিত, থাকবো সবাই স্বাস্থ্যসম্মত’ প্রতিপাদ্য-কে ধারণ করে প্রতিটি শিশুকে পরিবার ও বিদ্যালয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতন করতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত কর্মসূচির আওতায় আমাদের দেশে এখন উন্মুক্তভাবে মলত্যাগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ লোকের স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, শুধু স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করলেই চলবে না, সার্বিক স্যানিটেশন অর্জনে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও গণমাধ্যমকর্মীদের এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
পরে মন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে হাত ধোয়ার মাধ্যমে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০১৮’ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, বিশ্বে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
এমইউএইচ/জেডএ/পিআর
