বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন গড়তে চায় নতুন প্রজন্মের শিশুরা


প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৫

‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমি তোমার জীবন আদর্শে আমার জীবন গড়তে চাই’। আশরাফুল আলম পৃথুল, ১৪.০৮.১৫, নাট্যকলা বিভাগ। শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছোট এই শিশুটি জাতীয় শোক দিবসের বোর্ডে তার অভিব্যক্তি হিসেবে এ কয়েকটি শব্দগুচ্ছ লিখছিল।

রাজধানীর বকশিবাজারের বেসরকারি অগ্রগামী স্কুলের ১ম শ্রেনীর ছাত্র জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানায়, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চোখে দেখেনি, কিন্তু মা বাবার কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে মহৎ এই ব্যক্তির অবদানের কথা শুনেছে। আর তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিজের জীবন গড়তে চায় পৃথুল।

শুধু পৃথুলই নয়, তার মতো অনেক শিশুই বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বোর্ডে নানা অভিব্যক্তি  প্রকাশ করে তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যৎ জীবন গড়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গনে তিনদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু গ্রন্থমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের আয়োজন করেছে।  

শুক্রবার সকালে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেছে শিশু জাদুঘর ভবনের নীচতলায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের আলোকচিত্র (বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার স্ত্রী, মেয়ে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও ছোট ছেলে শেখ রাসেলসহ অন্যান্যদের), বঙ্গবন্ধুর সাথে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ অন্যান্যদের বেশ কিছু সংখ্যক আলোকচিত্র টানিয়ে রাখা হয়েছে। শিশুরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুরে সেগুলো দেখে বাবা ও মায়ের কাছে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে চাইছেন।

মাশফিয়া জাহান জ্যোতি। তার বাবা ব্যাংকার আবুল হাসনাত মো. মইনের হাত ধরে ঘুরে ঘুরে আলোকচিত্র দেখছিলেন। জ্যোতিকে একটি আলোকচিত্র দেখিয়ে জানতে চাইলেন, বলতো মা বঙ্গবন্ধুর সাথে যে মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে তিনি কে? জ্যোতি বাবার দিকে তাকিয়ে বললো, কে বাবা চিনতে পারছি না। যখন তার বাবা বললেন, উনি আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর মেয়ে। ছোট মেয়েটি সময় নিয়ে আলোকচিত্রটি অনেকক্ষন দেখে বললো, এখন চিনতে পারছি বাবা।

শিশু একাডেমি অডিটরিয়ামের বাইরে নীচতলায় জাতীয় শোক দিবসের অভিব্যক্তি বোর্ডে শিশুদের নানা অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল। রাতুল সেন, তবলা দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী লিখেছে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সম্মান দিব। তার স্মৃতি আমরা কখনো ভুলব না। তার জন্য বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।

রাইসা, সঙ্গীত ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী লিখেছে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু না হলে বাংলাদেশে উন্নতি হত। আরেক শিক্ষার্থী লিখেছে বঙ্গবন্ধু অমর, তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা সবাই মিলে গড়বো।

এমইউ/এআরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।