তিতলির প্রভাবে চট্টগ্রামে ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে তিন দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দিনভর টানা বর্ষণ হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টি চলতে থাকায় জলাবদ্ধতার শঙ্কায় পড়েছে বন্দরনগরী।
এদিকে শুক্রবার দিনভর বৃষ্টিতে নগরের চকবাজার, বাকলিয়া, হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। এতে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি জমে। রাতে কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকলেও শনিবার ভোর থেকে আবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন পশ্চিমবঙ্গের কিছুটা দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর, ঢাকা, গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা অতিক্রম করতে পারে। লঘুচাপটি এসব এলাকা অতিক্রম করার সময় ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।’
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবু আজাদ/বিএ/এমএস