ছাত্রলীগ কর্মী খুন : আঙ্গুর ৩ দিনের রিমান্ডে
সিলেট মদনমোহন কলেজে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল আলী হত্যা মামলায় গ্রেফতার আঙ্গুর মিয়ার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার বিকেলে আঙ্গুর মিয়াকে সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে মহানগর হাকিম আদালত-৩ এর বিচারক আনোয়ারুল হক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি প্রণোজিতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে সুনামগঞ্জের দোয়ারবাজার থেকে আঙ্গুর মিয়াকে আটক করে পুলিশ। তিনি এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার প্রধান আসামি প্রনোজিতকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন জানান, পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
প্রসঙ্গত, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার দুপুরে মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে খুন হন আব্দুল আলী। সে মদনমোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রনোজিত ও তার সহযোগিরা আলীকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলীকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিকালে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ওই দিন বিকালে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল থেকে গ্রেফতার করা হয় ঘাতক ছাত্রলীগ ক্যাডার প্রনোজিতকে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন গ্রেফতার করা হয় ছাত্রলীগ ক্যাডার আঙ্গুর মিয়াকে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার আলীর পিতা আলকাস মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, ছাত্রলীগ কর্মী প্রণজিত দাস, আঙ্গুর মিয়া, রাজিব, মাসুদ ও তাকবির। তারা সবাই মদনমোহন কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগের পারভেজ গ্রুপের কর্মী। এর মধ্যে ঘটনার পর প্রণজিতকে ও এর পরদিন আঙ্গুরকে আটক করে পুলিশ।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর