অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত লোকসভার অধিবেশন


প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ১৪ আগস্ট ২০১৫

ভারতের লোকসভার বর্ষকালীন অধিবেশন  অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। তিন সপ্তাহ ধরে চলা এই অধিবেশনে মোদি সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল ধুয়ে সাফ করে দিয়েছে কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধী দল। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

খবরে বলা হয়, অধিবেশনের শুরু থেকেই বিজেপি সরকারের বিতর্কিত ললিত গেট, ব্যপম কেলেংকারি নিয়ে সংসদ ছিল উত্তাল। দফায় দফায় মুলতুবি। কখনও বিরোধিতা চরমে উঠে গিয়ে ৫ দিনের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন কংগ্রেসের সংসদ সদস্যরা। আবার তৃণমূল ও বাম যেভাবে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্যদের সাসপেন্ড নিয়ে সরব হয়েছেন তাতে রাজনীতি প্রেক্ষাপটে নতুন সংযোজন নিয়ে এসেছে এই বর্ষকালীন অধিবেশন।

বর্ষকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই মোদি সরকারের আশঙ্কা ছিল ললিত গেট ও ব্যপম নিয়ে উত্তাল হতে পারে সংসদ। যার জেরে জমি অধিগ্রহণ বিল, পণ্য পরিষেবা কর আবাসন নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন বিল এবং শ্রম আইন সংস্কারের মতো একগুচ্ছ বিল পাস করাতে গেলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। বাস্তবে তাই হয়েছে। এই বিল পাস করাতে গিয়ে মোদি সরকারের যে সম্পূর্ণ ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সুষমা স্বরাজ, বসুন্ধরা রাজের পদত্যাগ নিয়ে হিমশিম খেয়েছে মোদি সরকার্। সুষমার ললিত নিয়ে মানবিকতার প্রসঙ্গে চিড়া ভিজেনি বিরোধীদের।

এদিকে, বর্ষকালীন অধিবশনে লাগাতার অচলাবস্থায় যে দেশের অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কংগ্রেস আমলে অচলাবস্থা নিয়ে মনমোহন সরকারের যুক্তি ছিল একদিন সংসদ অচল হলে ক্ষতি হয় ৯ কোটি টাকা। প্রতি মিনিটে ক্ষতি আড়াই লাখ টাকা। ইউপিএ সরকারের আমলে কয়লা, টেলিকম দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে দিনের পর দিন সংসদ অচল হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বিজেপি সরকারেও। সংসদে অচলাবস্থা স্বাভাবিক ঘটনা হলেও বিপুল ক্ষতিপূরণের দায় কে নেবে? জনগণের অর্থ অপচয় করে বাদল অধিবশনে সবকিছু ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেল সমস্ত বিলের ভবিষ্যৎ। এই ঘটনাকে লোকসভার সাবেক স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন।

এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।