সরকারি কর্মকর্তাদের এসিআর বাতিল : আসছে পিবিইএস


প্রকাশিত: ০৪:০১ এএম, ১৪ আগস্ট ২০১৫

দক্ষ, গণমুখি, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে সরকারি কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) পদ্ধতি বাতিল করে  ইভালুয়েশন সিস্টেম বা কর্মকৃতিভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি সংক্ষেপে পিবিইএস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এ প্রজেক্টের অর্থায়নে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডি কোনো সাড়া না দিলে সরকারের অর্থায়নে নিজস্ব কর্মসূচি আকারে পিবিইএস চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আরিফুল হক বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, পিবিইএস পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে ২০০৮ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরে ২০০৯ সালের ৩ মে ম্যাট-২ প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এসিআরের পরিবর্তে পিবিইএস চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরবর্তীকালে পিবিইএসের ফরমেটটিকে আরো সমৃদ্ধ ও উপযোগী করে মন্ত্রণালয়ের সকল প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে পূরণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। একইসঙ্গে ২০০৯ সালের ৩০শে আগস্ট থেকে ৩রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ দিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সকল প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে বিষয়টির ওপর ধারণা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

বিষয়টি নতুন হওয়ায় এর ফরম নিয়ে প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি থেকে যায়। সে পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাট-২ প্রকল্পের ন্যাশনাল প্রজেক্ট ডিরেক্টর-এর নির্দেশনায় ২০০৯ সালের ১৯শে নভেম্বর পিবিইএস-এর বিভিন্ন দিক বাস্তবায়ন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিএফআইডি টিমের বৈঠক হয়।  

এর ২ বছর পর ২০১১ সালের ২৪শে মার্চ ফরমেটটি পুরোপুরিভাবে মন্ত্রণালয়ে চালু করার আগে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠনো হয়।

পরে ২০১১ সালের ১লা জুন সচিব কমিটির বৈঠকে পিবিইএস পদ্ধতিকে পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন (সংস্কার ও বাস্তবায়ন)-এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এ কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ৩০শে এপ্রিল ৭টি সুপারিশ এবং বাস্তবায়ন সাপেক্ষে পিবিইএস অনুমোদনের সুপারিশ করে। ২০১২ সালের ৮ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব সুপারিশের সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেন।

পরে ৭ সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০১২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ সময় অর্থ বরাদ্দের জন্য ম্যাট-২ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়।

এরই মধ্যে ২০১৩ সালে ম্যাট প্রকল্প শেষ হওয়ার পর প্রজক্টের অর্থায়নে ডিএফআইডির পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় বর্তমানে সরকারের অর্থায়নে নিজস্ব কর্মসূচি আকারে পিবিইএস চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।