স্বর্ণ নীতিমালার অনুমোদনে টিআইবির সন্তোষ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৬ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৮

বহুল প্রতিক্ষীত ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’ এর খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে টিআইবি প্রণীত খসড়া গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে এ নীতিমালা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’ এর খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমোদন এ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় অবশ্যই একটি সন্তোষজনক পদক্ষেপ। নীতিমালাটির ফলে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণখাতে বিদ্যমান সুশাসনের ব্যাপক ঘাটতি উত্তরণ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে টিআইবি। তবে, এ প্রত্যাশা পূরণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ী মহলসহ সকল অংশীজন কর্তৃক নীতিমালার কঠোর বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। এ জন্য প্রয়োজন সবপর্যায়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি প্রশাসনিক ও ব্যবসায় খাতে কঠোর শুদ্ধাচারের চর্চা। নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টিআইবি স্বর্ণ খাতের জন্য নীতিমালাটির আলোকে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।

তিনি বলেন, এখন এই নীতিমালার আলোকে দেশের স্বর্ণ খাতের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নীতিমালার অভাবে দেশের স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কারের মান এবং স্বর্ণবাজারের ওপর স্বর্ণব্যবসায়ীদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নীতিমালাটি প্রণয়নের ফলে তা লাঘব হওয়াসহ অবৈধ স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকারের আমদানি বন্ধ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া, স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কারের মান যাচাই, ক্রেতা ও বিক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণ এবং স্বর্ণশিল্পী বা শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার যে ঘাটতি ছিল সেটাও নিরসন করা সহজ হবে।

নীতিমালাটি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় টিআইবির সুপারিশগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ড. জামান বলেন, নীতিমালার অভাবে অনিয়মগুলোই কার্যত অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছিল, যা ছিল স্বর্ণ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। স্বর্ণ নীতিমালার কঠোর এবং সতর্ক বাস্তবায়ন এই অবস্থার অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পাশাপাশি নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এতদিনের সুবিধাভোগী কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’ অনুমোদন দেয়া হয়।

এইচএস/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।