দেশের উন্নয়ন স্থায়ী করার জন্যই উন্নয়ন মেলা : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৮
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন যেন স্থায়ী হয়, সে জন্যই উন্নয়ন মেলার আয়োজন। এ মেলাকে কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণরা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারবে। দেশের শিক্ষা, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। কারও মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা-২০১৮ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই থিম সং পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া গত সাড়ে নয় বছরে উন্নয়নের একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। মেলা উদ্বোধনের পর বরগুনা জেলার আমতলী, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট, নড়াইল জেলা ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত হয়ে তরুণরা যাতে গড়ে উঠতে পারে, সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিটি শিশু যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে বড় হতে পারে, সে পরিবেশ নিশ্চিত করতেই কাজ করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবো- এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। আমাদের লক্ষ্য জাতির পিতা যে দেশ দিয়ে গেছেন, যে রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন, সেই রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষ, এমনকি গ্রামের তৃণমূলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। তাদের জীবন মান উন্নত করা। তাদেরকে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেয়া। শুধু বর্তমানে যারা আছেন তারা নয়, আমাদের তরুণ প্রজন্ম বা আগামী দিনে যত নাগরিক হবে, যে শিশুটি জন্ম নেবে, সে-ও যেন সুন্দর একটা পরিবেশে জন্ম নিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা আমাদের লক্ষ্য ও চাওয়া।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি জেলা, উপজেলায় স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ করে দিচ্ছি। যেসব এলাকায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না, সেসব এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। এ ছাড়া জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। যাতে ঘরের ভাত খেয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’

শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করলাম। সেখানে দেখলাম, শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও কয়েকটি বিষয়ে আমরা একটু পিছিয়ে আছি। এই আধুনিক যুগে বা ডিজিটাল যুগে কেউ পিছিয়ে থাকবে, সেটা আমরা চাই না। সেই জন্য এবার আমরা যে উন্নয়ন মেলাটা করছি, সেখানে আমরা একটি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি, সেটা হলো এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জন্য বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ক ‘অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকা’। অনলাইনের মাধ্যমে এসব বিষয়ে শিক্ষা নিতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।’

‘সেই সঙ্গে, শুধু ইংরেজিই নয়, প্রায় ১০টি ভাষায় একটি অ্যাপস তৈরি করে দিয়েছি, যা অনলাইনে পাওয়া যাবে এবং যেকোনো ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। কেউ যদি বিদেশে চাকরি করতে চায়, তাহলে ওই বিষয়ে সে শিক্ষা নিতে পারবে।’

এফএইচএস/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।