উন্নয়ন মেলায় গুরুত্ব পাবে পর্যটন খাত
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’স্লোগানে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলার মাঠে বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) শুরু হচ্ছে চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা-২০১৮। এবারের মেলায় পর্যটন খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ জন্য আলাদা একটি স্টলের পাশাপাশি জেলা কর্নারগুলোতে পর্যটন বিষয়ক নানা তথ্য দেয়া হবে।
বুধবার (৩ অক্টোবর) শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মো. ফেরদৌস এ কথা জানান। মেলা শেষ হবে শনিবার।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফানেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করবেন।
মেলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, এবারের উন্নয়ন মেলায় মোট ৩৩০টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০টি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৯টি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৬টি, কৃষি মন্ত্রণালয় ১৬টি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১০টি এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ৯টি স্টলে কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করবে।
চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে ৪ অক্টোবর দুপুরে ইআরডিতে বিদেশি কূটনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে সেমিনার। পরে তারা মেলাও পরিদর্শন করবেন বলে জানানো হয়। এছাড়া জাতীয় উন্নয়ন মেলার তিনদিনে তিনটি সেমিনার হবে।
মেলার প্রথম দিনে বিকাল ৫টায় ‘বঙ্গবন্ধু উন্নয়ন দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। দ্বিতীয় দিনে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার এবং শেষ দিনে ‘শিক্ষিত জাতি সমৃদ্ধ দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় বিভিন্ন জেলা বিষয়ে ব্র্যান্ডিং করা হবে। তুলে ধরা হবে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যটনকে খুবই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পর্যটনের জন্য আলাদা স্টল থাকবে। এছাড়া জেলা কর্নারেও পর্যটনের নানা তথ্য পাওয়া যাবে।
তিনদিনের মেলায় বিভিন্ন সেবা প্রদানকারি সংস্থা থেকে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা পাওয়া যাবে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন সেবা মিলবে। এ ছাড়া মেলায় পাসপোর্ট অধিদফতর সরাসরি পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও ফ্রি নেবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের হজ যাত্রীদের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশন করবেন। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে দেশের নানা উন্নয়ন বার্তা ছড়িয়ে দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ঢাকাবাসীসহ সবাইকে মেলায় আসার আহ্বান জানান এবং দেশের উন্নয়নে কী করে আরও এগিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে নাগরিকদের সম্পর্কের মেলবন্ধন শক্ত হোক সে প্রত্যাশা করেন।
এসআই/এমএ/এএইচ/জেআইএম