শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ভোটের আগে মালিকদের খুশি করতে সরকার ন্যূনতম মজুরি নিয়ে যে যেনতেন ঘোষণা দিয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ক্ষমতায় থাকার জন্য যেহেতু সরকারকে জনগণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না তাই তারা গুটি কয়েক মালিককে খুশি রাখার পন্থা অবলম্বন করেছে। শ্রমিকরাও সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের উচিৎ জবাব দেবে।

ঘোষিত মজুরি পুনর্বিবেচনা করে ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশে সংহতি জানাতে এসে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের ১৬ হাজার টাকা দাবির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, বাজার পরিস্থিতির যে অবনতি ঘটেছে তাতে আরো বেশি মজুরি দাবি করার বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। তিনি সরকারকে অবিলম্বে ঘোষিত মজুরি পুনর্বিবেচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ব খাতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মজুরি ঘোষণার দাবি জানান।

অপরদিকে সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উপদেষ্টা প্রবীণ বাম নেতা মনজুরুল আহসান খান সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, এদেশের প্রতিটি ঐতিহাসিক ও সংকটকালীন শ্রমিকরা সাহসী, অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছে। সেই শ্রমিকের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে, আশুলিয়া এলাকায় মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ করে, উত্তরায় শ্রমিকের অফিসে হামলা চালিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তার পরিণতি ভালো হবে না।

তিনি আরো বলেন, ৫০ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিককে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ে নামতে হবে। তিনি গার্মেন্ট সেক্টরের ও অন্যান্য সেক্টরের সকল শ্রমিক সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের ১৬ হাজার টাকা মজুরির দাবি বাস্তবায়ন, শ্রমিক স্বার্থবিরোধী শ্রম আইন বাতিল, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত এবং শ্রমিকের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্মিলিতভাবে ধর্মঘটের প্রস্ততি নিতে হবে।

শ্রমিক নেতা অ্যাড. মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে ও ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী, শ্রমিক নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, আকলিমা আক্তার ডলি, দিলীপ কুমার নাথ, সাইফুল্লাহ আল মামুন, জয়নাল আবেদীন, দুলাল সাহা, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন ও দর কষাকষি বিষয়ক সম্পাদক শ্রমিক নেতা মো. মছিউদ দৌলা। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল কদমফুল ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড়ে মুক্তি ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

এফএইচএস/এমআরএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।