‘জাপানের সমুদ্র নীতি থেকে শিক্ষা নিতে পারে বাংলাদেশ’
জাপানের সমুদ্র নীতি থেকে বাংলাদেশে শিক্ষা নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের উপ-রাষ্ট্রদূত তাকেসী ইটো।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘জাপানিজ মেরিটাইম পলিসি অ্যান্ড ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ বিষয়ক এ সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে জাপান দূতাবাস ও ঢাবির দক্ষিণ এশিয় গবেষণা কেন্দ্র।
ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দেলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক ড. নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, জাপানের সফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক অশুকো নেহেরা।
উপ রাষ্ট্রদূত বলেন, সমুদ্র অর্থনৈতিক বিষয়ে জাপানের গুরুত্ব অনেক আগে থেকেই। সমুদ্র নিরাপত্তা, সরকারের পরিকল্পনা ও সাগর পথে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে জাপান সমুদ্র নীতি পরিকল্পনা করে।
অধ্যাপক অশুকো নেহেরা বলেন, জাপান প্রতি পাঁচ বছর পর পর সমুদ্র নীতির পরিকল্পনা করে থাকে। ২০০৮ সালে সমুদ্র নীতির প্রথম মূলনীতি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয় সমুদ্র নীতি পরিকল্পনা করে। কিন্তু সর্বশেষ সমুদ্রসীমা পরিকল্পনায় সাগর অর্থনীতির নিরাপত্তার বিষয়টি বিস্তৃত আকারে প্রণয়ন করা হয়।
নতুন সমুদ্রনীতিতে ৯টি বিষয়বস্তু তুলে ধরেন অশুকো নেহেরা। এগুলো হলো- সমুদ্র নিরাপত্তা, সাগরের উৎপাদন শিল্প-সংক্রান্ত ব্যবহার উন্নত করা, সাগরের আবহাওয়া বজায় ও সংরক্ষণ করা, মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেসের ধারণ ক্ষমতা শক্তিশালী, সমুদ্র জরিপ এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে উন্নয়ন ও গবেষণা বাড়ান, দূরবর্তী দ্বীপগুলোকে সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্তি উন্নয়ন, উত্তর মেরু-সংক্রান্ত নীতি উন্নত, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত ও মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
এমএইচ/এএইচ/জেআইএম