পর পর দুই নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন ঝুঁকিতে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যেসব রাজনৈতিক দল গত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি ও এরপর উপ-নির্বাচনেও পর পর দু’বার অংশগ্রহণ করবে না, তাদের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি একটি আসনেও নির্বাচন না করে তাহলে নিবন্ধন আইন অনুযায়ী তাদের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তবে আরও অনেকগুলো ক্রাইটেরিয়া থেকে যায়। কতগুলো দলের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেটি পরিসংখ্যান করা হয়নি।

মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। যদি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।

সচিব বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যারা কাজ করবেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ারও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পরই এটি শুরু হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অঞ্চলভিত্তিক হবে। যারা তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন তাদের প্রশিক্ষণও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে সেটা ধরেই প্রস্তুতি এগিয়ে নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ইভিএম বিষয় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করবে কি করবে না সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আরপিও সংশোধন হলে এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। যদি এই সংসদে এটি নাও হয়, আমাদের অনেক স্থানীয় নির্বাচন আছে, সেখানে আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারব।

সংসদে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাবটি পাস না হলে বিদ্যমান আইনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি ।

তিনি বলেন, কমিশন থেকে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তারা মিটিং করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবেন। মন্ত্রিসভায় যদি এটি অনুমোদন হয়, তাহলেই সংসদে যাবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এটি কোন পর্যায়ে আছে তার তথ্য পাইনি। যদি এটি সংশোধন হয় তাহলে ভালো, আর না হলেও তার প্রস্তুতি আছে। আগের আরপিও দিয়েও নির্বাচনের সকল কর্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। ফলে বিদ্যমান আরপিও দিয়ে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসি সচিব বলেন, ৩০ অক্টোবরের পরে যে কোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এই বিষয়টি সামনে রেখে ইসি সচিবালয় বিভিন্ন প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সারাদেশের ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি। সেগুলো প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। যখন তফসিল ঘোষণা করা হবে তখন রিটার্নিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলোর তালিকা আমাদের কাছে পাঠাবে। এরপর গেজেট আকারে ৩০০ আসনের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ থেকে ১০ আঞ্চলিক অফিসে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানোর কাজ শুরু করবো। প্রথমে সিলেট ও খুলনা অঞ্চলে পাঠাবো। বাকিগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো হবে। নিয়মিত কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে।

এইচএস/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।