রাত ১০-১১টার পর ফেসবুক বন্ধ চান রওশন এরশাদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ছেলে-মেয়েদের ভালোর জন্য এবং ‘বিপথ’ থেকে রক্ষার জন্য রাত ১০টা কিংবা ১১টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। বৃহস্পতিবার সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।

রওশন এরশাদ বলেন, স্মার্টফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও তরুণরা এটি বেশি ব্যবহার করছে। ফলে তারা পড়াশোনা করছে না, রাতে ঘুমায়ও না। তারা বিপথে যাচ্ছে। রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যদি এটা বন্ধ করা যায় তাহলে তারা পড়াশোনা করবে। আমরা যদি ছেলেমেয়েদের ভালো চাই তাহলে এটা বন্ধ করা দরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়া আর কোকেন তুলে দেয়া একই কথা। তাই এটা যদি বন্ধ করা না যায় তাহলে আগামী প্রজন্মকে দেশ পরিচালনার জন্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা অবশ্যই রাখতে হবে

কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংঘাতের মাধ্যমে কোনো কিছু আদায় করা যায় না। কোটা আন্দোলনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এটা সমর্থন করি না।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা অবশ্যই রাখতে হবে হয়তো। তা না হলে অন্যভাবে রাখতে হবে। যদি কোটা তুলে দেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধা কোটা অবশ্যই রাখতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা যেতে পারে। এর একটি সুষ্ঠু ও স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যৌক্তিক। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত ছেলেমেয়ে বেকার। বয়স বাড়ালে তারাও চাকরি করার সুযোগ পায়। ভারতে ৪০, নেপালে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ করা যায়। এছাড়া অনেক দেশে শেষ বয়স পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে মায়ের মন দিয়ে বিবেচনা করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এমপিওভুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা প্রয়োজন। এমপিওভুক্ত করা হলে শিক্ষকরা আরো ভালোভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিতে পারবেন।

এইচএস/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।