সীমান্তে পাক হামলায় ভারতীয় ২ নারী নিহত


প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৪

জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর ছোড়া মর্টার এবং গুলিতে নিহত হলেন একই পরিবারের দুই নারী। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। বুধবার এ ঘটনা ঘটে।

নিহতদের বাড়ি ভারতের সাম্বা জেলার চিল্লারি গ্রামে। মঙ্গলবার রাতভর আন্তর্জাতিক সীমান্তে হামলা চালানো হয়। বুধবার সকাল পর্যন্ত সেই হামলা চলে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর এক মুখপাত্র।

এদিন কয়েকটি জায়গা নতুন করে পাক-নিশানা হয়ে ওঠে। সকালে বিএসএফের ডিজি দেবেন্দ্র পাঠক জম্মু পৌঁছেছেন বলেও জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই রাতে ৫০টি বর্ডার আউটপোস্ট এবং সীমান্তের প্রায় ৩৫টি গ্রাম লক্ষ্য করে মর্টার ও গুলি ছোড়ে পাক রেঞ্জার্সরা।

সাম্বার পুলিশ সুপার অনিল মঙ্গোত্রা জানিয়েছেন, রাতভর হামলা চালানোর পর এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ চিল্লারি গ্রামে ফের হামলা চালায় পাক রেঞ্জার্সরা। সেসময় মর্টারের একটি শেল স্থানীয় শকুন্তলাদেবীর বাড়িতে এসে পড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ও তাঁর পুত্রবধূর। এছাড়াও আহত হন শকুন্তলাদেবীর স্বামী-পুত্র এবং দুই শিশু।

পুলিশ জানায়, সীমান্ত লাগোয়া ওই গ্রামের প্রায় ১৭০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সেনা সূত্রে জানা যায়, পাল্টা জবাব দেওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যে হামলা চালাচ্ছিল পাকিস্তান, মঙ্গলবার রাতেই তা থেমে যায়।

এদিকে, হামলায় ১৫ জন আহতদের মাঝে তিনজন বিএসএফ জওয়ানও রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

অন্যদিকে, সকাল ৯টার দিকে সীমান্ত লাগোয়া জোরদা ফার্ম গ্রামে মর্টারের শেল ছোড়ে পাক রেঞ্জার্সরা। এ ঘটনায় আরো ছয়জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। সারারাত ত্রাণ শিবিরে কাটিয়ে তাঁরা ওই সময়ে বাড়িতে ফিরছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগেও গত সোমবার পাক রেঞ্জার্সদের গুলিতে ৫ জন নিহত ও ৩৪ জন গ্রামবাসী আহত হন।

বিএসএফ জানায়, মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জম্মুর সাম্বা এবং কাঠুয়া জেলার বিভিন্ন বর্ডার আউটপোস্ট লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। পাল্টা জবাবও দেয় বিএসএফ। ওই দুই জেলা থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে শুধু অক্টোবর মাসেই জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে প্রায় ২৪ বার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাক রেঞ্জার্সরা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আটজনের। আহত হয়েছেন ৭১ জন।

হামলার কারণে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।