জিএসপি সুবিধা নিয়ে রেহমান সোবহানের প্রশ্ন


প্রকাশিত: ০৬:২২ এএম, ১২ আগস্ট ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশকে পোশাক খাতের জন্য জিএসপি সুবিধা দিয়েছে সেসব দেশে এ খাতের কর্মপরিবেশ কি তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে অভিমত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, হাতি, ঘোড়া, ছাগল সবাইকে জিএসপি দিয়েছে মার্কিন মুলুক। তবে বাংলাদেশকে কেন নয়। এটি আমাদের খতিয়ে দেখা জরুরি।

বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মত দেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পোশাক খাতের মুনাফা ও কমপ্লায়েন্স শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, পোশাক খাতে আমরা প্রতিযোগিতা করছি। সেটি শ্রমিকের স্বাস্থ্য ঝুকি, কর্মপরিবেশ ও সস্তায় শ্রমের কারণে। তাই বাংলাদেশ সস্তার বাজার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিদেশি ক্রেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। আবার উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতারি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। সেটি অর্জন করতে চাইলে সেভাবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা আন্তর্জাতিক কর্মপরিবেশ নিয়ে কাজ করে তাদের কোনো বৈষম্য মানা যাবে না। প্রয়োজনে তাদের ভিসা দেয়া হবে। তাদের স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে শ্রম সচিব মিখাইল শিপার বলেন, সরকার রানা প্লাজার পর পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ দিয়েছে। হাতে নিয়েছে একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সরকারের প্রতিশ্রুতি আছে।

সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে যে সময় দিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তাদের আরো সময় দিতে হবে বাংলাদেশের ব্যবসায়িদেরকে। অর্থের যোগান ও কমপ্লায়েন্স এক সঙ্গে চলতে হবে।

ওপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, একর্ড ও অ্যালায়েন্স শুধু অবকাঠামোগত দিক পর্যালোচনা করে বলে দিচ্ছে, এটি কমপ্লায়েন্সড নয়। এটি কিভাবে করছে। তাদের সব দিক বিবেচনা করে প্রতিবেদন দিতে হবে।

মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক বলেন, কমপ্লায়েন্স ইস্যুটি নিজেদের অনুধাবন করতে হবে। বিদেশিদের নির্দেশনায় হবে না। বিদেশিরা নির্দেশনা দেয়, কিন্তু মূল্য বাড়াতে চায় না। এটি কেন। আমরা অনেক কারাখানা সবুজ কারখানায় রূপান্তর করছি। কিন্তু সবুজ কারখানার পণ্য নিতে সেভাবে দাম নির্ধারণে যেতে চায় না বিদেশি ক্রেতারা।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার এর সভাপতি রায় রমেশ চন্দ্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত জিএসপি বহাল রেখে বাংলাদেশকে চাপ দেওয়া। কিন্তু তারা সেটি করছে না।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের বিভিন্ন বাহিনী রেশন পান। তবে পোশাক শ্রমিকরা কেন পাবেন না। কতভাবে কতটা তো ব্যয় হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ এখাতের আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।


এসএ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।