ঢামেকের ৬ কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট বিক্রির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ছয় কর্মচারীর বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার কমিশন থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নূরুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তরা হচ্ছেন- ঢামেক জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আজিজুল হক ভুইয়া (বরখাস্ত হয়ে বর্তমানে-প্রশাসনিক সংযুক্ত), সাবেক এমএলএসএস ও বর্তমানে ক্যাশিয়ার মো. আলমগীর হোসেন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল বাতেন সরকার, ব্লাড শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. শাহজাহান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু হানিফ ভুইয়া এবং জরুরি বিভাগের ও বর্তমানে ফর্ম শাখার অফিস সহকারী হারুনর রশিদ।

দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, দুদকের অনুসন্ধানে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে মোট ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৬০১ টাকা আত্মাসাৎ করার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সরকারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ২০১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা প্রণব ভট্টাচার্য্য।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজিজুল হক ভুইয়া হাসপাতালের জরুরি আট লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৮টি টিকেট ৮১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৮৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন।

পরে তিনি ওই টাকার মধ্যে থেকে ৬৬ লাখ ১৫ হাজার ৯৩০ টাকা সরকারি খাতে জমা করলেও ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৫ টাকা জমা করেননি।

অপরদিকে তিনি জরুরি বিভাগে রোগী ভর্তি করে ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ২২৭ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৮১ টাকা। এখানেও তিনি ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৪৬ টাকা কম জমা করেননি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আজিজুল হক অর্থ আত্মসাতের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আলামতও নষ্ট করেছেন বলে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এসেছে।

মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে (২০০৯ থেকে ২০১০ সাল) ১৫ হাজার টিকিট বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আবু হানিফ ভুইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ২৮ হাজার টিকিট বিক্রি করে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

হারুনর রশিদ গত ২০০৯-২০১০ থেকে ২০১২-১৩ সাল পর্যন্ত এক লাখ ১৫ হাজার টিকেট বিক্রি করে ১১ লাখ ৫০ হাজার আত্মসাৎ করেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আলমগীর হোসেন গত ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২৮ হাজার টিকিট বিক্রি করে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে আব্দুল বাতেন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জরুরি বিভাগে ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে গত ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এক লাখ টিকেট বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়।

জেইউ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।