সংবাদ সম্মেলন করে ‘বিপদে’ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শ্রেণির শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। সংবাদ সম্মেলনকারী শিক্ষকরা সাংগঠনিকভাবে অনিবন্ধিত হওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর ডিপিই পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন আহাম্মেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, গত ১২ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি অনিবন্ধিত সংগঠন তাদের পেশাগত দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১১ সেপ্টেম্বরের নির্দেশনা অনুযায়ী এটি নিয়মনীতির কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নিয়োগকারী স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষকে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ডিপিইর মহাপরিচালক অনুমোদন দিয়েছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ নির্দেশনা জারির পর শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ও সমালোচনা করছেন তারা। নানা ধরনের মন্তব্য করছেন আন্দোলরত শিক্ষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, ‘মর্যদার জন্য আন্দোলন সমাবেশ করতে না দেয়া অধিকার হরণ করার সমান। আমাদের মর্যাদা আদায়ের জন্য সংবাদ সম্মেলন করে দাবি-দাওয়া জানিয়েছি। কিন্তু এটা চাকরির বিধি লঙ্ঘন ইস্যুতে আমাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হচ্ছে। আমরা এতে উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তারা আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা একত্রিত হয়ে আবারও আন্দোলনে নামবো। তবে আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। কোনো কিছুই আমরা মানবো না। আমরা আমাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এ বিষয়ে ডিপিইর পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন আহাম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয় চালাকালীন সময়ে কিছু শিক্ষক প্রেসক্লাবে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা সাংগঠনিকভাবে অনিবন্ধিত। কারা তাদের ছুটি দিয়েছে, কাদের জানিয়ে তারা (শিক্ষকরা) সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ড চাকরিবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় সে মোতাবেক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমএইচএম/আরএস/জেআইএম