মৃগী সারাতে গাঁজার তেল


প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৫

ঔষধি গুণের জন্য কদর বাড়ছে গাঁজার তেলের। বৈধকরণের পর ব্রিটেনে এই তেলের বিপণনের দায়িত্ব নিয়েছে লন্ডন ও কেন্টের সংস্থা ইউকে সিবিডি। মাদক হিসেবে এক সময় ব্রাত্য মারিজুয়ানা তথা গাঁজার তেলের ঔষধি গুনাগুণ প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে তার নিয়ন্ত্রিত চাষ ও বিপণন আইনি সিলমোহর পেয়েছে।

ব্রিটেনে জনপ্রিয় গাঁজার তেল ‘শার্লটস ওয়েব’-এর ডিস্ট্রিবিউটরশিপ গ্রহণ করেছে লন্ডন ও কেন্টের নামী সংস্থা। জানা গিয়েছে, মৃগী-সহ বেশ কিছু রোগের উপশমে অব্যর্থ এই তেল।

গত ৩১ জুলাই ব্রিটেনে বৈধতা পায় ক্যানাবিস (সিবিডি) অয়েল অর্থাত্ গাঁজার তেল। এই বিষয়ে সিএনএন-এর ডক্টর সঞ্জয় গুপ্তার উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া ‘দ্য কালচার হাই’-এর মতো তথ্যচিত্রের সুবাদে এই তেলের গুণের কথা প্রচার পায়।

গাঁজার মূল সাইকোঅ্যাক্টিভ উপাদান টিএইচসি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সিবিডি উপাদানটি কাজে লাগিয়ে ঔষধি তেল তৈরি করেছে ‘শার্লটস ওয়েব’। সোজা কথায়, গাঁজার মধ্যে থাকা নেশার উপাদানটি এই ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হয়।

টিএইচসি রহিত গাঁজা গাছ, যার চলতি নাম হেম্প, ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। সংস্থার নামকরণের পেছনে রয়েছে শার্লট ফিজি-র কাহিনি। মাত্র ৫ বছর বয়সে প্রবল মৃগীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তাঁকে প্রথম মেডিক্যাল মারিজুয়ানার ডোজ দেওয়া হয়। চিকিত্সায় সাফল্য পাওয়ার পর গাঁজার ঔষধি গুণের বিষয়টি আরো প্রচার পায়।

চিকিত্সকদের মতে, হেম্প-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনস, খণিজ পদার্থ এবং ওমেগা ৩ ও ৬। ব্রিটেনে ওষুধ হিসেবে তার চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। সম্প্রতি চিকিত্সার কারণে গাঁজা চাষ বৈধ করতে সরকারের কাছে আবেদনপত্রে মাত্র এক সপ্তাহে সই করেছেন ২,০০,০০০ ব্রিটিশ নাগরিক।

এসএইচএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।