নৌকায় ভোট দিলে কিছু পাওয়া যায়
রংপুর, গাজীপুর ও বৃহত্তর কুমিল্লাবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু আপনাদের এলাকা নয়, সারাদেশেই উন্নয়ন হয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই আজ এ উন্নয়ন। নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই রাষ্ট্রভাষা বাংলা পেয়েছেন, স্বাধীন দেশ পেয়েছেন। একমাত্র নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়, দেশের মানুষ ভালো থাকে।
আজ (রোববার) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শেখ হাসিনা তিতাস সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে ৮৫০ মিটার দীর্ঘ গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর উপজেলার তিতাস নদীর ওপর ইংরেজি ‘Y’ আকৃতিতে নির্মিত হয়েছে ৭৭১ মিটার দীর্ঘ শেখ হাসিনা তিতাস সেতু।
সেতু দুটি উদ্বোধন করে শেখ হাসিনা দুই এলাকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছে জানতে চান সেতু নির্মাণের ফলে তারা উপকৃত হলেন কি-না। তাদের প্রতিক্রিয়া শোনেন। তাদের প্রতিক্রিয়া শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন খুশি হলাম।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ খুশি হলে, দেশের মানুষ ভালো থাকলে আমিও খুশি। কারণ, কিছু পাওয়ার আশা এবং দেশের উন্নয়নের জন্যই তো আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ উন্নত হবে। দেশের মানুষ ভালো থাকবে। বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই আমরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, বালাসী বাহাদুরাবাদ ব্রিজ করা সম্ভব হবে না। এর আগে যমুনা সেতু করার পূর্বে ফিজিবিলিটি স্টাডি করে দেখা গেছে সেখানে সেতু নির্মাণ করা যাবে না। এখানে টানেল করা যায় কি-না সেটা ভাবছি। তা ছাড়া এখানে আবার ফেরি চলাচল হয় কি-না সে বিষয়টি দেখছি।
লালমনিরহাট থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে ঢাকা পর্যন্ত দ্রুতগামী টেন চলাচলের ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব ঘনবসতি এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করলে এলাকার কৃষক তার ফসলের ন্যায্যদাম পাবেন। এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যেরও দ্রুত প্রসার ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী মতবিনিময়কালে রংপুর প্রান্তে একজন কৃষকের প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
এ সময় জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, এই এলাকা আগে মঙ্গা নামে পরিচিত ছিল। মঙ্গা শব্দটি খুঁজতে হলে এখন জাদুঘরে যেতে হবে। আমাদের রংপুর এখন সবুজে ভরা। আমরা কৃষকরা বীজ পাচ্ছি, সার পাচ্ছি। ভতুর্কির টাকা পাচ্ছি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ভালো ফসল আমরা উৎপাদন করতে পারছি। কৃষককে এখন আর সারের পেছনে দৌড়াতে হয় না। সার দৌড়ায় কৃষকের পেছনে।
তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে একজন রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেয়া যায়। বাইসাইকেলে করে আমার এলাকার ছাত্ররা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করছে। তার এ বক্তব্যে শুনে শেখ হাসিনা বলেন, আপনার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। আমরা যে পরিশ্রম করছি সে পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্স পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
এফএইচএস/এনএফ/এমএস