‘প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো। ইতোমধ্যে ১০০টি উপজেলায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। তিনি বলেন, গ্রামগুলোকে উন্নত করতে হবে। গ্রামে শহরের সকল সুযোগ থাকতে হবে।

শনিবার সকালে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (অাইডিইবি) তিনদিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অাইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শামসুর রহমান। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনজনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, অামরা গ্রাম উন্নত করতে চাই। যাতে শহরের মানুষের ওপর চাপ কম পড়ে। গ্রামের মানুষ যেন সুন্দর বাড়ি তৈরি করতে পারে সে জন্য তাদের বিশেষ ঋণসুবিধা দেয়া হচ্ছে। উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে বহুতল ভবন নির্মাণেরও পরিকল্পনা নিয়েছি। মানুষ গ্রামগঞ্জে তাদের সকল চাহিদা পূরণ করতে পারবে- সেটা অামরা চাই।

তিনি বলেন, কারিগরিশিক্ষা, প্রযুক্তিশিক্ষাকে অামরা সবসময় গুরুত্ব দেই। গত সাড়ে নয় বছরে দেশব্যাপী সরকারি পর্যায়ে প্রায় ৫০০টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ক্যাপাসিটি ২৫ হাজারের জায়গায় এক লাখ করার প্রকল্প অামরা হাতে নিয়েছি। এ সেক্টরে সাত হাজার পদ সৃষ্টির জন্য তিন হাজার ৬শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২৩টি বিশ্বমানের পলিটেকনিক স্থাপনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে নয় বছরে কাজ করে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ করেছি। এ অগ্রযাত্রা অামাদের ধরে রাখতে হবে। অামরা বাজেট বৃদ্ধি করেছি, এত বড় বাজেট অার অতীতে কখনো দেয়া হয়নি। এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা শুধুমাত্র উন্নয়ন বাজেটে রেখেছি। এর ফলে কাজের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুতের জন্য যে হাহাকার ছিল এখন তা নেই। আমরা ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখানে ব্যাপক কাজ হবে। বিনিয়োগ বাড়বে। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। খাদ্য-কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প যাতে গড়ে ওঠে সে ব্যবস্থা করছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। ২০০ প্রকার সেবা পাচ্ছে দেশের মানুষ। অামরা যখনই সরকারে অাসি তখন দেশের মানুষ কিছু পায়। সেদিক থেকে অাইডিইবিও ভাগ্যবান যতবার সরকারে এসেছি ততবার তাদের টাকা দিয়েছি। জায়গা দিয়েছি বিনাপয়সায়। অাজ সেখানে ২৫ তলা ভবন হচ্ছে।

এফএইচএস/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।