টেস্ট ম্যাচ আরো আনন্দদায়ক হয়েছে


প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৫

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জমানায় টেস্ট ম্যাচ নিয়ে বিরক্ততা অনেক ক্রিকেট প্রেমীর মধ্যেই রয়েছে। রঙ্গিন পোশাকে ধুমধারাক্কা ব্যাটিং-এ মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে রান তোলার গতিতেই বিরক্ত অনেকে। তবে ধীরে ধীরে সেই বিরক্ত ভাব কাটছে। কারণ একবিংশ শতাব্দিতে টেস্ট ম্যাচে রান তোলার গতি আগের তুলনায় বেড়েছে। তার প্রমানও মিলেছে একবিংশ শতাব্দিতে। বড় ফরম্যাটে আগের তুলনায় একবিংশ শতাব্দিতে রান তোলার গতি বাড়িয়েছে টেস্ট খেলুড়ে দলগুল।

একবিংশ শতাব্দিতে টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংসে রান তোলার গতি বেড়ে গেছে অনেক খানি। প্রতিটি সেশনের ওভার প্রতি রান তোলার গতি থাকছে সাড়ে তিন থেকে চারের মধ্যে। চলতি এ্যাশেজ সিরিজের কথাই ধরা যাক। লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওভার প্রতি ৩ দশমিক ৭৯ রান তুলে ৫৬৬ রানের বড় স্কোর দাঁড় করে অস্ট্রেলিয়া। ঠিক তেমনি ৩ দশমিক ৪৬ রান ওভার প্রতি রেখে ৩১২ রান তুলে ইংল্যান্ড।

আবার নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ওভার প্রতি পাঁচের উপর রান তুলে দ্রুতই টার্গেটা বড় করে অস্ট্রেলিয়া। সেই সাথে শুরুতে রান তোলার গতি স্লো থাকলেও পরবর্তীতে বড় জুটি, দলীয় স্কোরটাকে শক্তপোক্ত করার কাজটাও ভালোভাবেই সম্পন্ন করা যাচ্ছে।

একবিংশ শতাব্দির শুরুর একটি ম্যাচের কথাও যদি ধরা হয়, তাতেও দেখা যাবে ব্যাটসম্যানদের রান তোলার গতি বেড়েছে। শুরুতে ধীরলয়ের হলেও, পরবর্তীতে বড় ইনিংসও দাঁড় করাতে পেরেছেন তারা। ২০০২ সালে হেডিংলিতে মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত ও ইংল্যান্ড। ঐ ম্যাচের প্রথম দিন ৯০ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ২৩৬ রান তুলে দিন শেষ করে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার ওভার প্রতি রান তোলার গড় ছিলো ২ দশমিক ৬২।

তারপরও দ্বিতীয় দিনে নিজেদের দলীয় স্কোরটা ৮ উইকেটে ৬২৮ রানে নিয়ে গেছে ভারত। শেষ পর্যন্ত ভারতের ওভার প্রতি রান তোলার গতিও ছিলো বেশ ভালো। প্রথম দিনের ২ দশমিক ৬২ থেকে দ্বিতীয় দিন ইনিংস ঘোষণার সময় ভারতের গড় ছিলো ৩ দশমিক ৪৮ রান। আর ঐ টেস্ট ইনিংস ও ৪৬ রানের ব্যবধানে জিতে নেয় ভারত। তাই একবিংশ শতাব্দিতে ওভার প্রতি রান তোলার গতি বেড়ে যাওয়ায়, টেস্ট ম্যাচ হয়ে উঠছে আনন্দদায়ক।

এমআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।