যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়াদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫২ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

অসচেতনভাবে যত্রতত্র রাস্তা পারা হওয়া পথচারীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ড্রাইভারের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়াদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে এটি থামবে। তাছাড়া এটি থামবে না। এছাড়া ট্রাফিক নিয়মটা স্কুল থেকে আস্তে আস্তে শেখানো উচিত।

বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির নূরে হাসনাত লিলি চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের একথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, সড়কের দুর্ঘটনা দূর করার জন্য আমরা যতই পদক্ষেপ নেই না কেন, আমাদের দেশের মানুষের অদ্ভুত মানসিকতা- তারা রাস্তা পারাপারের সময় হাত দেখায়! দ্রুতযান হাত দেখানোর সাথে সঙ্গে থেমে যেতে পারে না। কিন্তু আমরা কী দেখি, ছোট্ট শিশুর হাত ধরে মা রাস্তা পার হচ্ছেন। অথবা বাবা বাচ্চাদের নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। রাস্তায় অনবরত গাড়ি আসছে অথচ খুব কাছেই ফ্লাইওভার থাকলেও এভাবে পার হচ্ছেন। এমনকি যুব ছেলে-মেয়েরাও এ কাজ করছেন। ফ্লাইওভার দিয়ে পার না হয়ে দৌড় মেরে পার হতে চায়। তার ফলে অ্যাক্সিডেন্ট হয়। আর অ্যাক্সিডেন্ট হলে যারা রাস্তা পারাপার হচ্ছে তাদের দোষ কতটুকু আর ড্রাইভারের দোষ কতটুকু সেটাও বিবেচ্য বিষয়।

আরও পড়ুন : আলসেমিতেই অনীহা ওভারব্রিজে?

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় আমি দেশবাসীকে বলব সেটা হলো, কোনো একটি অ্যাক্সিডেন্ট হলে ড্রাইভার তখন নিজের জীবন বাঁচাতে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। ফলে যার বাঁচার সম্ভাবনা সেও আর বাঁচে না। ড্রাইভার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কারণ যে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল তাকে সাহায্য করার চেয়েও বেশি আগ্রহ থাকে ড্রাইভারকে টেনে নামিয়ে কীভাবে মারধর করা যায় এবং মারতে মারতে এমনও ঘটনা ঘটে মেরেই ফেলে! আইন কারো হাতে তুলে নেয়া উচিত নয়। ধরে পুলিশে দেবে, কিন্তু কেউ মারধর করতে পারবে না। এই মারধর যদি বন্ধ হয়ে তাহলে অনেক অ্যাক্সিডেন্টে কিন্তু মানুষ বেঁচে যায়। এটি হলো বাস্তবতা। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে পারাপারের সময় সকলকেই ট্রাফিক আইনটা মেনে চলা উচিত।

আরও পড়ুন : মৃত্যুর ঝুঁকি নেবেন, তবু ওভারব্রিজে উঠবেন না

শিশু আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতবড় একটি ঘটনা ঘটল, আন্দোলন হলো তারপরও আমরা দেখি মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা নেই। তারা যত্রতত্র রাস্তা পার হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ছবির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এক বাবা তার শিশু সন্তানকে নিয়ে এমনভাবে রাস্তা পার হচ্ছিলেন বাবার পা একটু পিছলে গেলেই ফেন্সের সরু মাথা তার শরীরে গেঁথে যাবে। কেউ রাস্তা পার হতে একটা মিনিট সময় নেবে না, অথবা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবে না। এই বিষয়টিও সবার দেখা দরকার।

আরও পড়ুন : যেখানে দরকার সেখানে নেই

রাস্তা পারাপার সব ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষের একটু সচেতন হওয়া উচিত। ছোট শিশুকে নিয়ে হঠাৎ দৌড় দিয়ে রাস্তা পার হওয়া বা দুটি বাস দাঁড়িয়ে আছে তার ফাঁক দিয়ে বেরুতে গিয়ে অ্যাক্সিডেন্ট হলো। গাড়িতে বসে মাথা বা হাত বের করে রাখা তখন তো অ্যাক্সিডেন্ট হতেই পারে।

এইচএস/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।