৩ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্ত হবে ফেসবুকের গুজব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে তথ্য অধিদফতরের অধীনে ‘গুজব শনাক্তকরণ ও নিরসন কেন্দ্র’ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে মিথ্যা কোনো পোস্ট দিলে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই এ কেন্দ্র জানাবে সেটি গুজব।’

মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তারানা হালিম বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুজবের কারখানায় পরিণত হয়। এর ফলে একটি প্রজন্ম গুজবকেও সত্য বলে ধরে নেয়।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তথ্য মন্ত্রণালয়ের পিআইডিতে (তথ্য অধিদফতর), প্রয়োজন হলে নিমকোতে (বাংলাদেশ গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট) বেশ কিছু তরুণ লোকবল আছে, তাদেরকে ইনক্লুড করে একটি টিম করবো যারা ২৪ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া দেখতে থাকবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যে সংবাদগুলো গুজব সেগুলো চিহ্নিত এবং সব সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল, রেডিও এবং সংবাদ মাধ্যমে তিন ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পিআইডি থেকে প্রেসনোট যাবে যে- এ সংবাদগুলো গুজব, ভিত্তিহীন এবং অসত্য।’

তারানা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের লন্ডনভিত্তিক একটি সেল আছে এবং তিনশরও বেশি পেজ রয়েছে জামায়াতের। তারা খুব সক্রিয় এবং পেজগুলো প্রবলভাবে স্পন্সরড। নির্বাচনের আগে এ প্রবণতা বেড়ে যাবে। কাজেই আমাদের দায়িত্ব কণ্ঠ রোধ করা নয়, অসত্য তুলে ধরা। সে কাজের জন্য সেলটি গঠন করা হবে।’

‘আশা করছি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এ কাজটি শুরু করতে পারবো। আমরা একটি নম্বর দেয়ারও চেষ্টা করছি। এ নম্বরটি সব সাংবাদিকদের কাছে থাকবে। তবে আমরা সুয়োমুটো সংবাদটি আপনাদের কাছে (গুজব-সংক্রান্ত) পৌঁছে দিতে চাই।’

প্রাথমিকভাবে তিন শিফটে প্রতি শিফটে সাতজন করে এ কেন্দ্রে কাজ করবেন বলেও জানান তারানা হালিম।

বেসরকারি চ্যানেলকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা নেয়ার আহ্বান

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিটিভি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করছে। প্রাইভেট চ্যানেলগুলোকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ফ্রিকোয়েন্সি বিটিআরসির কাছ থেকে নিয়ে ব্যবহারের জন্য।’

‘বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সব বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলকে সেবা দিতে সক্ষম। বিটিআরসি থেকে ফ্রিকোয়েন্সি পাওয়া সাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু-১ এর সেবা গ্রহণে বিএসসিসিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সব টেলিভিশন চ্যানেলকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে চ্যানেলগুলো সেবা নিলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। সুনাগরিক হিসেবে এটি আমাদের দায়িত্ব। আমরা গত ৩০ জুলাই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চ্যানেলগুলোকে একটি অনুরোধপত্র দিয়েছি।’

আরএমএম/এমএমজেড/এএইচ/আরআইপি/এসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।