মোদির সমর্থন মাইলফলক হয়ে থাকবে : শেখ হাসিনা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক বজায় আছে তা বিশ্বে একটি রোল মডেল। ভারত থেকে অতিরিক্ত আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে। এতে দুই দেশই লাভবান হলো। তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থন ও সহযোগিতা মাইলফলক হয়ে থাকবে।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানিবিষয়ক প্রকল্প, রেলওয়ের ‘কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন’ ও ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ)’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সোমবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা ৩২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম। বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াট। মমতা ব্যানার্জী আমাদের আরও ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে চেয়েছেন। আশা করি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিজি তাতে কোনো আপত্তি করবেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি সেক্টরে দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা ২০৪১ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে এগিয়ে যাচ্ছি। সে হিসেবে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। এ বিদ্যুৎ পেলে বাংলাদেশের অনেক সাফল্যগাথার সঙ্গে ভারতের অবদান থাকবে। ভারতের কাছ থেকে নতুন নতুন সহযোগিতার ফলে নতুন নতুন বাতায়ন খুলে যাবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আরও অটল থাকবে। এই সহযোগিতার কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীসহ সব সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এফএইচএস/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।