চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে হচ্ছে চামড়া শিল্পনগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে দুটি চামড়া শিল্পনগর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাদুকা ও চামড়া পণ্যের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শিল্পনগরের স্থান নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। বিসিক এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী কমিটির (ইসিএনসিআইডি) সভায় তিনি এ কথা জানান।

সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিম, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান, বস্ত্র ও পাট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, কৃষি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, পরিবেশ ও বন, ভূমি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মহিলা ও শিশু, বিদ্যুৎ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিসিক, বিসিআইসি, বিনিয়োগ বোর্ড, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এসএমই ফাউন্ডেশন, পরিকল্পনা কমিশন, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, আইসিবি, বেপজা, বেজা, চট্টগ্রাম চেম্বার, বিসিআই, এমসিসিআই, নাসিব, বাংলাদেশ অটো ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলা ক্রাফট, বিজিএপিএমইএ ও বিপিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশব্যাপী শিল্পায়ন প্রক্রিয়া জোরদারে আলোচনা হয়। এ সময় ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প কারখানায় ঋণ সুবিধা বৃদ্ধি, কৃষিভিত্তিক শিল্পে প্রণোদনা, জাহাজ নির্মাণ শিল্পের প্রসার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় আগামী এক মাসের মধ্যে জাহাজ নির্মাণ শিল্প নীতিমালার খসড়া চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি দেশব্যাপী টেকসই ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশের লক্ষ্যে বিসিকের আওতায় ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। বিসিক ইতোমধ্যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষুদ্র শিল্পের নিবন্ধন সেবা চালু করেছে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় জেলাভিত্তিক কাঁচামাল সম্ভাবনার ওপর প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বিসিককে নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিসিকের অদক্ষ জনবল পরিবর্তন করে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়।

সভায় শিল্পমন্ত্রী নিরবচ্ছিন্ন খাদ্য উৎপাদনের স্বার্থে বিসিআইসির সার কারখানাগুলোতে নিয়মিত গ্যাস সরবরাহে গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ না করে সিস্টেম লস কমানোর ওপর নজর দিতে হবে। গৃহস্থালি ও পরিবহনে জ্বালানি হিসেবে সিলিন্ডার ও এলএনজি ব্যবহার করে শুধুমাত্র শিল্প-কারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পরামর্শ দেন। তিনি ছোবড়াসহ নারিকেল দিয়ে উৎপাদিত শিল্পপণ্য বৈচিত্র্যকরণের লক্ষ্যে লাগসই প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন।

এসআই/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।