১০ বছরের মধ্যে সাক্ষরতার চিত্র পাল্টে যাবে : গণশিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাল্টে যাবে, দেশের সকল মানুষ সাক্ষরতার জ্ঞান নিয়ে নিজেকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আন্তর্জাজিত সাক্ষরতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ এই প্রতিপদ্যে এবার সারাদেশে সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে।

গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণতকরণ, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালে উপনুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন প্রণীত হয়েছে। এর ফলে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে আামাদের সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। এখনও ২৭ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর রয়েছে। তাদের সাক্ষরজ্ঞান ও দক্ষ করে তোলাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বর্তমানে সাক্ষরতার চিত্র পাল্টে গেছে। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার সকল ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন শুধু লিখতে-পড়তে পারলেই তাকে সাক্ষরতা বলে না। পড়ালেখার পাশাপাশি তাকে কর্মদক্ষ হলেই তাকে সাক্ষর বলা হচ্ছে। সাক্ষরতার চিত্র আগামী ১০ বছরের মধ্যে পাল্টে যাবে। সাক্ষরতা মানে একজন শিক্ষিত ও দক্ষ ব্যক্তিকে বোঝাবে। আজকের যারা শিশু, আগামীতে তারাই এ চিত্র পাল্টে দিবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন। তিনি বলেন, দেশের একটি অংশ নিরক্ষর থাকবে এটি ভেবেই বঙ্গবন্ধু গণসাক্ষরতা কার্যক্রম শুরু করলেও এটি যে গতিতে চলছে তা সঠিক নয়। শুধু যোগ বিয়োগ, সাক্ষর করা আর পেপার পড়তে পারাই সাক্ষরতার মূল উদ্দেশ্য নয়। সাক্ষরতার জ্ঞান নিয়ে যেন তাদের কর্মসংস্থান তৈরি হয় সেটিই ছিল এর মূল লক্ষ্য। অথচ তা আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। আজও দেশে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হয়নি।

মোতাহার হোসেন আরও বলেন, সমাপনী-ইবদায়ি ও জেএসসি-জেডিস পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষানীতির আলোকে ২০১৮ সাল থেকে শুধু ৮ম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন করার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে কোয়ালিটি শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কারিগরি শিক্ষাকে আরও ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আসিফ উজ জামান, উপানুষ্ঠনিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ। এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, ইউনেস্কো ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএম/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।