ফুটওভার ব্রিজে উঠতেও দীর্ঘ লাইন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঘোষণা এসেছে একদিন আগে। পরের দিনই ফল মিলেছে। যে ফুটওভার ব্রিজ ফাঁকা থাকে চরম ব্যস্ত সময়েও, সেই ফুটওভার ব্রিজে ওঠার জন্য দীর্ঘ লাইন! বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরবেলা। মাথার ওপরে সূর্য। ভর দুপুরের সূর্যের তাপে মগজ গলার উপক্রম। তবুও তাড়া নেই। নেই হুড়োহুড়ি।

রাজধানীর উত্তরায় মাসকট টাওয়ারের সামনে ফুটওভার ব্রিজে ওঠতে দীর্ঘ লাইন। কখনও কখনও লাইন ২শ’ মিটারে গিয়ে শেষ হয়েছে। পথযাত্রী কাউকেই সড়ক পার হতে দেয়া হচ্ছে না। কেউ গাড়ি থামিয়ে সড়ক পারও হচ্ছেন না। নিত্যদিনের যে চিত্র তা যেন মাত্র একদিনেই বদলে গেল। এ যেন সভ্য এক নগরীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নাগরিক তারা। আজ নিয়ম মানতেই প্রতিযোগিতা করছেন পথযাত্রীরা।

একই চিত্র দেখা যায়, রাজধানীর অন্যান্য ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকাতেও। পথযাত্রীদের ফুটওভার ব্রিজের মাধ্যমে রাস্তা পারাপারে বাধ্য করা হচ্ছে। আর এ কাজে সহায়তা করছেন রোভার স্কাউটের সদস্যরা।

Dhaka-2

উত্তরা মাসকট টাওয়ারের সামনে ফুটওভার ব্রিজে উঠতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন হেমন্ত বালা। সঙ্গে আট বছরের মেয়েও আছে। তিনি বলেন, ‘কয়েক মিনিট হলো তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে আছি। তবুও বিরক্ত নই। নিয়ম মানতে ভালো লাগছে। ফুটওভার ব্রিজে রাস্তা পারাপার হওয়ার মধ্য দিয়ে একদিকে জীবনের সুরক্ষা মিলছে, অন্যদিকে রাস্তায় যানজট কমছে। সর্বত্রই নিয়মের বাস্তবায়ন হলে শৃঙ্খলা ফিরবেই।

একই জায়গায় রোভার স্কাউটের সদস্য মঈনুল হোসেন দায়িত্ব পালন করছেন সকাল থেকে। তিনি বলেন, ‘নিয়ম অমান্য করতেই তো নাগরিকরা অভ্যস্ত। তাই প্রথম দিন বেগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক থেকে ফুটওভার ব্রিজে উঠাতে প্রথম দিকে হিমশিম খেতে হয়েছে। এখন সবাই লাইনে। বুঝতে পারছে। পথযাত্রীরা আমাদের এখন সহায়তাও করছে।’

Dhaka-3

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছিলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর থেকে পুলিশ সড়কে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এবার আমরা মাসব্যাপী অভিযান চালাব। পুলিশের এই উদ্যোগে সহায়তা করবে রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

প্রতি শিফটে ৩২২ জন স্কাউট সদস্য গাড়িগুলোকে লাইনে দাঁড় করানো, যত্রতত্র পার্কিং না করা, জেব্রা ক্রসিং ও ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে যাত্রীদের রাস্তা পারাপারে সহায়তা করবেন। ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগগুলোর বিষয়ে কমিশনার বলেন, ঢাকায় ১২১টি বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাস থামানো যাবে না।

এএসএস/এআর/এএস/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।