শিশু হত্যার দায়ে সৎ বাবার ফাঁসি
কক্সবাজারে শিশু হত্যার দায়ে সৎ বাবাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তি হলেন, আবদুল গফুর (৪৫)। তিনি মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘোনারপাড়ার মৃত আবুশামার ছেলে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পারিবারিক কলহে দ্বিতীয় স্ত্রী তৈয়বা বেগমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ১৯ এপ্রিল ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা এলাকায় তৈয়বার আগের পক্ষের মেয়ে সুমিকে প্রহার করে হত্যার পর বেড়িবাঁধে পাথরচাপা দিয়ে রাখা হয়। রাতে বিষয়টি সুমির মাকে জানানো হলে তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় বাঁধ এলাকায় গিয়ে লাশের অবস্থান নিশ্চিত করে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
২০ এপ্রিল এ ঘটনায় আবদুল গফুর ও তার প্রথম স্ত্রী রাবিয়াকে আসামি করে মহেশখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন সুমির মা তৈয়বা বেগম। ২২ এপ্রিল গফুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৩ এপ্রিল হত্যার পূর্ণ বিবরণ দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন গফুর। হত্যার ঘটনা স্বীকার করায় প্রথম স্ত্রী রাবিয়াকে বাদ দিয়ে গফুরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার কৌশলী ছিলেন দিলীপ কুমার ধর। তিনি বলেন, জবানবন্দি ও সাক্ষ্যে হত্যার প্রমাণ পাওয়ায় অপরাধের ধরন মতে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। রায়ে মেয়ের মা ও স্বজনরা সন্তুষ্ট।
এদিকে, রোববার শিশু হত্যার অভিযোগে এক যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। ২০১২ সালে টেকনাফে কানের দুলের জন্য শিশু সুমাইয়াকে হত্যা করে পাথর বেঁধে ডুবা জলাশয়ে ফেলে দেয় আসামি নুরুল ইসলাম (২৫)।
সায়ীদ আলমগীর/এসএস/পিআর