বিমসটেকে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। নেপালে এই সম্মেলন চলাকালে সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং ভুটানের সরকারপ্রধান দাশো শেরিং ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক করতে পেরে খুশি শেখ হাসিনা।

রোববার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এবারের বিমসটেক সম্মেলনের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, সার্বিক বিবেচনায় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন এবং এর অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সভা বাংলাদেশের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে আমার অংশগ্রহণ এবং শীর্ষ সম্মেলনের পূর্বের সভাসমূহে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

গত দশ বছরে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যগুলো বিমসটেক সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় তুলে ধরার কথাও প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন। প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক অঞ্চলের দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত, সন্ত্রাসসহ অন্যান্য সমস্যাকে যৌথভাবে মোকাবেলা করার আহ্বান তিনি তার বক্তৃতায় জানিয়েছেন।

বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর বিদ্যুৎগ্রিডের মধ্যে আন্তসংযোগ চালুর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে বিমসটেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ চলাচলের ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি।

সম্মেলনের সাইডলাইনে নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ভুটানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাশো শেরিং ওয়াংচুক এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার নানাদিকও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি বাংলাদেশের প্রতি নেপালের ‘সুগভীর বন্ধুত্বের’ বিষয়টি তুলে ধরেন। বলেন, আমি আঞ্চলিক সহযোগিতার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করি। বিবিআইএনের চলমান উদ্যোগের ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করি। আঞ্চলিক সহযোগিতার স্বার্থে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর নেপাল ও ভুটানকে ব্যবহার করতে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রী জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও বাংলাদেশের রফতানির ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। নেপালের সঙ্গে সম্প্রতি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও বাংলাদেশে আমদানিবিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য নেপালের সঙ্গে যৌথভাবে; ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশ একসঙ্গে অথবা বাংলাদেশ নিজেই বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে আমি তাকে অবহিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই অনুপ্রেরণা থেকেই বিমসটেকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এফএইচএস/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।