ইভিএম চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইভিএম নিয়ে আসার জন্য আমি সবসময় পক্ষেই ছিলাম, এখনো আছি। তবে এটাও ঠিক এটা তাড়াহুড়ো করে চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। কারণ একটা প্র্যাকটিসের ব্যাপার আছে।

তিনি বলেন, ইলেকশনটাকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সবই কিন্তু আমরাই করেছি। কারণ মানুষের ভোটের অধিকারটা মানুষের হাতেই থাকুক। কাজ করেছি মানুষের জন্যে, ভোট দিলে দিল না দিলে নেই, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। এটার কারণ আছে সেটা পরে বলবো।

রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইভিএম ডিজিটাল বাংলাদেশেরই একটা পার্ট। আমরা এখন টাকা পাঠাচ্ছি অনলাইনে, গাড়ি কিনছি অনলাইনে, সবজি কিনছি অনলাইনে। এটা ঠিক যে প্রযুক্তি আমাদের সবসময়ই সুবিধা করে দেয় তা কিন্তু নয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে ইভিএমের বিরুদ্ধে বিএনপি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। ভোটের রাজনীতিতে কারচুপি করা এটা তো স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিল জিয়াউর রহমান। আজকে বিএনপি যখন ভোটের কারচুপি নিয়ে কথা বলে তখন তাদের তো জন্মলগ্নটা দেখা দরকার। কোন জন্মের মধ্যদিয়ে তারা এসেছিল? ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের কথা সবার মনে আছে। যাদের জন্মটাই কারচুপির মধ্যদিয়ে তারা আবার কারচুপি নিয়ে কথা বলে।

তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে তারা অভিযোগ করবেই, কারণ কারচুপির একটা টেকনিক তাদের জানা আছে। বহু টেকনিক তারা ইলেকশন কারচুপিতে জানে। ইভিএম চালু হলে ব্যালট পেপার একটার বদলে দুটো নিতে পারবে না। সে জন্যে তারা আপত্তি জানাচ্ছে।

স্বাধীন বাংলাদেশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই ভোটের রাজনীতিতে কারচুপি নিয়ে এসেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ইভিএম চালু হলে বিএনপি ভোট কারচুপি করতে পারবে না বলেই তারা আপত্তি জানাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আমাদের বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা দিয়েছিল। আমার একটা মামলাও কিন্তু তোলে নাই। সবগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে বলে আমি বলেছিলাম। সেগুলো প্রমাণ করতে পারে নাই।

এইউএ/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।