প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ায় শাস্তি পেলেন মৎস্য কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফেসবুকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার কর্মকর্তাসহ সচিব ও অন্যান্য পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে পোস্ট দেয়ায় বিসিএস মৎস্য ক্যাডার কর্মকর্তা বেগম ফারহানা জাহানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী এক বছর তার বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এই কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল নাগরপুরের সাবেক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা জাহান, বর্তমানে মৎস্য অধিদফতরের বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কুচিয়া ও কাঁকড়া চাষ এবং গবেষণা প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা (চাঁদপুর মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটে বদলির আদেশাধীন)।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল স্বাক্ষরিত শাস্তির আদেশে বলা হয়েছে, ফারহানা জাহান গত বছরের ১২ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে স্ট্যাটাস দেন। পরে ৫ নভেম্বর তাকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তিনি ১৪ নভেম্বর তার জবাব দেন।

এতে আরও বলা হয়, তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৩ ডিসেম্বর কৈফিয়ত তলব করে।

fb-status-farhana

১৭ ডিসেম্বর লিখিত জবাব দেয়ার ১০ কার্যদিবস পার হওয়া সত্ত্বেও তিনি জবাব না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাটি তদন্তের জন্য বিধিমালা অনুযায়ী তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

‘তদন্ত প্রতিবেদনের চূড়ান্ত মতামত অনুযায়ী ফারহানা জাহানের অসদাচণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো’ বলা হয় আদেশে।

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী, ফারহানা জাহানের বেতন বৃদ্ধি এক বছরের জন্য স্থগিতের দণ্ড দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয় আদেশে।

আরএমএম/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।