হাজরে আসওয়াদে চুমো : কারও স্বপ্ন পূরণ হয়, কারও হয় না!

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা মক্কা থেকে
প্রকাশিত: ০৯:২৯ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পবিত্র নগরী মক্কায় আল্লাহর ঘরে (কাবা শরিফ) দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তাওয়াফ চলতে থাকে। শুধু নামাজের সময়টুকু ছাড়া তাওয়াফ কখনও বন্ধ হয় না।

মূল হজ, ওমরাহ ও তাওয়াফ করার সময় হাজিদের সবার দৃষ্টি বারবার যেখানে পড়ে তা হলো একটি কোণায় থাকা সাদা রংয়ের একটি পাথর, যেটি হাজরে আসওয়াদ পাথর নামে সুপরিচিত।

এ পাথরে চুমো খেলে সারাজীবনের গোনাহ মাফ হয়ে যায়- এমন বিশ্বাস থেকে হাজিদের মনের গহীনে সুপ্তবাসনা থাকে ওই পাথরে একটিবার চুমো খাওয়া। এ স্বপ্ন কারও পূরণ হয় আবার কারও হয় না। কারণ ওই স্থানটিতে পৌঁছাতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়।

তাওয়াফরত হাজার হাজার হাজি সেখানে পৌঁছাতে প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালান। প্রচণ্ড ভিড় ও গাদাগাদিতে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এ পাথরে চুমো খেতে গিয়ে অনেক হাজি কেউ হাত-পা আবার কেউবা বুকের পাঁজর ভেঙে হাসপাতালে শয্যাশায়ী হয়েছেন।

ওমরাহ করার সময় পাথরে চুমো খেতে গিয়ে আহত হয়ে মূল পাঁচদিনের হজই করতে পারেননি এমন হাজির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।

আজ (শনিবার) ফজর ও জোহরের নামাজের সময় সরেজমিনে দেখা গেছে, লাখো মানুষ মূল কাবা চত্বরে তাওয়াফ করছেন। সবচয়ে বেশি ভিড় হাজরে আসওয়াদের কোণায়।

hajj

হাজার হাজার হাজি বহুল কাঙ্ক্ষিত ওই পাথরে চুমো খেতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালান। ওইখানে ভিড়ে চাপা পড়ে দুর্ঘটনারোধে একাধিক নিরাপত্তারক্ষী হ্যান্ডল ধরে সারাক্ষণ ঝুলে থাকেন।

হাজরে আসওয়াদ পাথরে চুমো খাওয়ার সফলতায় বেশিরভাগই নাইজেরিয়া ও মালিসহ আফ্রিকার নাগরিকরা এগিয়ে। সুবিশাল দেহের এসব পুরুষ ও নারী অনেক সময় পেশিশক্তি প্রদর্শন করে জায়গা করে নেয়।

এমইউ/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।