পাজেরো গাড়ি উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ
সরকার পাজেরো স্পোর্টস ও মিটসুবিসি পিকআপ গাড়ি আমদানি না করে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে দেশেই উৎপাদন করতে চায় বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে`র সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
জাপানের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গাড়ি সংযোজন করলেও বর্তমান সরকার দেশেই গাড়ি উৎপাদন করতে চায়। বর্তমানে পাজেরো স্পোর্টসের গাড়ির ক্রয় মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা। যা দেশে উৎপাদন করে ৫০ লাখ টাকায় গ্রাহকদের দেওয়া সম্ভব। এজন্য জাপানের উদ্যোক্তাদের সহায়তা চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।
বৈঠকে মন্ত্রী জাপানের উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প-কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় সনি কর্পোরেশনের কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এটি বাংলাদেশে স্থানান্তরের সুযোগ রয়েছে। এ কারখানায় কর্মরত অধিকাংশ শ্রমিক বাংলাদেশি ছিল উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এটি স্থানান্তর হলে সহজেই দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যাবে। তিনি ঘোড়াশাল ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউএফএফএল) ও পলাশ ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেডে জ্বালানি সাশ্রয়ী সার কারখানা প্রতিস্থাপনে জাপানের প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, এককভাবে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। জাপানের সহায়তায় ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), দ্বিতীয় ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি-২), বিএসটিআই`র গবেষণাগার আধুনিকায়নসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশের এসএমই শিল্পখাতে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে জাপানের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে।
এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতি জাপান সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এ দেশে গুণগতমানের শিল্পায়নের ধারা বেগবান করতে জাপানি উদ্যোক্তারা শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি দ্বি-পাক্ষিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাফকো প্রকল্পকে সাফল্যের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানি সাশ্রয়ী সার কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি এসএমই শিল্পখাতের উন্নয়নে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বিসিআইসি`র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবালসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এসআইএস/এমআরআই