সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যাত্রীকল্যাণ সমিতির ১০ সুপারিশ
সড়ক মহাসড়কে পরিবহন দুর্ঘটনা রোধ ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমিয়ে আনতে ১০ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। গত ৪ বছর ধরে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ৭টি বিষয় পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতার আলোকে এ সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০১৮ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরার পর যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপারিশগুলোও উপস্থাপন করেন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে ঈদুল আজহায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ঈদুল আজহায় ১৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২৫৯ জন, আহত ৯৬০। গত ঈদুল আজহার তুলনায় এবার সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩.৫০ শতাংশ বেড়েছে।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ
১. ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন করা
২. বিরতিহীনভাবে যানবাহন চালানো
৩. অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ চালক-হেলপার দ্বারা যানবাহন চালানো
৪. নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল
৫. বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো
৬. সড়ক-মহাসড়কে ফুটপাত না থাকা ও
৭. সড়ক-মহাসড়কে বেহাল দশা দুর্ঘটনার কারণ।
সড়কে দুর্ঘটনা রোধে যাত্রীকল্যাণ সমিতির সুপারিশ
১. সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে রোড সেইফটি ইউনিট গঠন করে নিয়মিত দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ
২. প্রশিক্ষিত চালক গড়ে তোলার জন্য সরকারি খরচে ‘চালক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ চালু
৩. নিয়মিত রাস্তার রোড সেইফটি অডিট করা
৪. ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা
৫. ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে মানসম্মত পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা
৬. মহাসড়কে ধীরগতির যান ও দ্রুত গতির যানের জন্য আলাদা আলাদা লেইনের ব্যবস্থা করা
৭. মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন
৮. ভাঙা রাস্তার সংস্কার করা
৯. ফিটনেসবিহীন লক্করঝক্কর ও ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধে উদ্যোগ এবং
১০ জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ফুটপাত, আন্ডারপাস, ওভারপাস তৈরি করে পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সেইফ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এলায়েন্সের আহ্বায়ক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, বিআরটিএ এর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান খান ও এফবিসিআই এর সাবেক পরিচালক আব্দুল হক।
জেইউ/এমআরএম/পিআর