দেশে প্রতিটি বিষয়ে বিশেষায়িত হাসপাতাল হবে : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিকিৎসা সেবায় অামরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। অনেক ডাক্তার-নার্সকে বিদেশ থেকে ট্রেনিং দিয়ে এনেছি। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মানও বেড়েছে। চোখ, গলা, নাক ও কানসহ দেহের প্রতিটি অঙ্গের বিষয়ে দেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।

বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে স্থাপিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গোপালগঞ্জ জেলার চারপাশে ৮টি জেলার ২০টি উপজেলায় কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করা হয়। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া, লোহাগড়া, কাশিয়ানিসহ কয়েকটি উপজেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উপকারভোগীরা বলেন, বাড়ির কাছে কমিউনিটি সেন্টার হওয়ায় এলাকার অনেক মানুষ উপকার পাচ্ছেন। অনেক অন্ধের চোখে অালো ফুটছে। যারা এক সময় চোখে দেখতে পারতো না তারা এখন চোখে দেখছে চিকিৎসার কারণে।

শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসাসেবা মহৎ কাজ। এ ছাড়া দেশের মানুষের ভালো মন্দ দেখা অামাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। দেশের মানুষ যেন সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, ভালো থাকতে পারে সে লক্ষ্য নিয়েই অামরা কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে যেভাবে রাখার স্বপ্ন দেখেছিলেন তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জে যে চক্ষু হাসপাতাল উদ্বোধন করা হলো এর মাধ্যমে চারপাশে ৮টি জেলার লাখ লাখ রোগী চিকিৎসা সেবা পাবে। এখানকার ডাক্তার এবং নার্সদের বিদেশ থেকে ট্রেনিং দিয়ে অানা হয়েছে। ফলে এ হাসপাতালের চিকিৎসার মানও ভালো হবে। অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং নার্সদের কারণে অাধুনিক এবং উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সম্ভব হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি করি দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। রাজনীতি তো ভোগ বিলাসের বস্তু নয়। দেশের জনগণ ভালো থাকবে, সুখে শান্তিতে থাকবে এটাই তো অামাদের চাওয়া। বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। অামরা তা করতে পারছি। অাগামীতে দেশের জনগণ যদি ক্ষমতায় অানে তাহলে এ উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ভোট দেয়া না দেয়া জনগণের রাজনৈতিক অধিকার। ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের বস্তু না, ক্ষমতা হচ্ছে দায়িত্ব পালনের। কাজেই সেই দায়িত্বটাই পালন করতে চাই। আমি সব সময় মনে রাখি যে, আমার বাবা দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, তাই জনগণের সেবা করাটা আমার প্রথম কর্তব্য।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সেবা করেই যাব। জনগণকে উন্নত জীবন দেব, খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর এই অঙ্গীকার আমাদের পূরণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলায়ও আইক্যাম্প করে চিকিৎসা দেয়া হবে। দরিদ্ররা যাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা নিতে পারে তারও ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক চিকিৎসা সেবা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে সরকার।

অনুষ্ঠানে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের জন্য ২০ কোটি টাকার আলাদা ফান্ড করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। যার মাধ্যমে হতদরিদ্রদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেয়া হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে দোয়া চান যেন, অাগামী দিনে দেশের মানুষের সেবা করতে পারেন।

এফএইচএস/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।