‘সৌদিতে গৃহকর্মী নির্যাতন পরিস্থিতি ভয়াবহ নয়’

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা মক্কা থেকে
প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮
গত ২০ মে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি ফেরত কয়েকজন। সৌদি আরবের আলখেল্লা পরা পাষণ্ড মালিকদের অসভ্য আর অমানবিক আচরণ সইতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন তারা

সৌদি আরবে বাংলাদেশি গৃহকর্মীদের যৌন ও শারীরিক নির্যাতন পরিস্থিতি মোটেই ভয়াবহ নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসি।

তিনি বলেছেন, বর্তমানে সৌদি আরবে দুই লক্ষাধিক গৃহকর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র সাত হাজার দেশে ফিরে গেছেন। তাদের কেউ কেউ শারীরিক আবার কেউ কেউ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেভাবে ভয়াবহভাবে নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে, পরিস্থিতি তেমন খারাপ নয়।

মক্কায় হজ মিশনে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে চার বছরের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।

gulam-mosi

রাষ্ট্রদূত গোলাম মসি

‘সৌদি নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়ে আসতে প্রতিজনের জন্য সরকারকে দুই হাজার মার্কিন ডলার করে পরিশোধ করে। স্বভাবতই তারা গৃহকর্মীদের কাছ থেকে ভালো কাজ আশা করেন। কিন্তু গৃহকর্মী হিসেবে যারা আসেন, তাদের বেশিরভাগই আরবি ভাষা না শিখে ও গৃহকর্মে কী ধরনের কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করে আসেন। নতুন পরিবেশ, আবহাওয়া, লোকজন ইত্যাদি দেখে গৃহকর্মীরা ঘাবড়ে যান। ফলে গৃহকর্তা-কর্ত্রীরা যেমনটা আশা করেন গৃহকর্মীরা সেই প্রত্যাশা অনুসারে কাজ করতে পারেন না। তখন তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়,’- বলেন রাষ্ট্রদূত।

এ পর্যন্ত কত সংখ্যক গৃহকর্মী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সংখ্যা ৫০০ হতে পারে। তবে যৌন নির্যাতন একটিও কাম্য নয়। নির্যাতিত নারীদের দূতাবাসের শেল্টারে রেখে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

গৃহকর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আরবি ভাষা শিক্ষা ও গৃহকর্ম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এমইউ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।