জনকণ্ঠের বিষয়ে বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি আজ
দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে দেয়া রুলের শুনানি আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আজ।
রোববার এ রুলের ওপর আংশিক শুনানির পর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এদিকে গত ২৯ জুলাই আদালত অবমাননার রুল জারি করার পর থেকে এ পর্যন্ত জনকণ্ঠে যত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা আজ আদালতে দাখিল করতে জনকণ্ঠকে এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বিচারপতির কথোপকথনের অডিও রেকর্ড থাকার কথা জনকণ্ঠ দাবি করেছে সেই অডিও রেকর্ডও দাখিল করতে জনকণ্ঠকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার সকাল ৯টায় আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হলে জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন তিনটি আবেদন দাখিল করেন। প্রথম আবেদনটি ছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ পুনর্গঠন করা নিয়ে। এ আবেদনটি আদালত খারিজ করেন।
দ্বিতীয় আবেদনে ছিল আদালত অবমাননার অভিযোগে দেয়া রুলের জবাব। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে পুরো নিবন্ধটি পড়ে শোনান। গত ১৬ জুলাই জনকণ্ঠের ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় স্বদেশ রায়ের ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা: পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়।
তিনি বলেন, নিবন্ধটি লেখার মাধ্যমে জনগণ্ঠ আদালত অবমাননা তো করেছেই, এখন তারা যে সমস্ত ডকুমেন্ট জমা দিচ্ছেন সেটা আরো গুরুতর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, লন্ডনের সফর বিষয়ে প্রধান বিচারপতি স্বচ্ছতার স্বার্থে তার অবস্থান বর্ননা করেছেন। আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয় এমন কোনো প্রতিবেদন লেখা সাংবাদিকদের উচিত না।
এফইএচ/বিএ