৭ খুন : বাদী পক্ষের নারাজি মামলার শুনানি ৩০ সেপ্টেম্বর
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের একটি মামলার বাদি নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটির নারাজির খারিজের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলার শুনানি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে একই আদালতে ২১ জুলাই আদালতে নারাজি রিভিশন পিটিশন দায়ের করেছিল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জাগো নিউজকে জানান, নথি প্রস্তুত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সময় প্রার্থনা করেছেন। পরে আদালত আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রিভিশন মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
তিনি আরো জানান, গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দু’টি মামলার অভিন্ন চার্জশিটে ভারতের কলকাতায় গ্রেফতারকৃত সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের চাকুরিচ্যুত তিনজন আলোচিত কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
তবে বিউটির মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি হাজী ইয়াছিন মিয়া, ইকবাল, হাসমত আলী হাসু, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু ও শ্রমিক দল নেতা আনোয়ারকে।
এ ঘটনায় গত ১১ মে আদালতে সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করেন। পরে ৮ জুলাই শুনানিতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের নারাজি আবেদন খারিজ করে দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটট আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাত খুনের ঘটনায় নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়ি চালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামি অজ্ঞাত করা হয়েছিল।
শাহাদাৎ হোসেন/বিএ