ছাত্রীর গায়ে হাত দেয়ায় স্কুল শিক্ষকের কারাদণ্ড
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় শেখাহাতি ইউনাইটেড বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর গায়ে হাত দেয়ার অভিযোগে এক শিক্ষককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার রাত ৮টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক হলেন উপজেলার ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ও সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মোকছেদুর রহমান মোকছেদ (৩২)।
জানা গেছে, শিক্ষক মোকছেদের কাছে ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির কয়েক জন ছাত্রী শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ইংরেজি ও গনিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়ছিল। পড়ার শেষ পর্যায়ে ওই শিক্ষক অন্য ছাত্রীদের ছুটি দিলেও একজনকে অতিরিক্ত পড়ানোর কথা বলে কৌশলে আটকে রাখেন। এরপর মোকছেদ অসৎ উদ্দেশ্যে ওই ছাত্রীর গায়ে হাত দেন।
পরে বাসায় ফিরে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার মাকে জানায়। ছাত্রীর মা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন। প্রধান শিক্ষক তাৎক্ষণিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান করে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এছাড়াও পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয় ঘেরাও করে রাখে। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ওই শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে আটক করে রাখে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বিষয়টি জানার পর সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই শিক্ষককে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে তাকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম (পুটু) জানান, ওই শিক্ষক ইংরেজি ও গনিতে ভালো ছিল। ছয় বছর ধরে বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। বিদ্যালয় তহবিল থেকে তাকে বেতন দেয়া হতো।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের এই স্বভাব মানায় না।
লিমন বাসার/বিএ