পশু কোরবানি হচ্ছে আজও

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৮

যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের উত্তর রায়েরবাগের হাজী আ. মজিদ খান লেনের মো. রাসেল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির সামনের অংশ পরিষ্কার করছিলেন। পাশেই কালো রঙেয়ের মাঝারি সাইজের একটি গরুটি ঘিরে দাঁড়িয়ে শিশুরা।

রাসেল বলেন, ‘ঈদের প্রথম দিনই প্রায় সবাই কোরবানি দেয়। আমি বুধবার কোরবানি দেয়ার মতো কোনো মানুষ পাইনি। তাই আজ কোরবানি দেব।’

রাসেলের মতো কেউ কেউ বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি দিচ্ছেন। ইসলামী বিধান অনুযায়ী, ঈদের তিন দিন পর্যন্ত (১০, ১১ ও ১২ জিলহজ) পশু কোরবানি দেয়া যায়। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ প্রথম দিনই কোরবানি দিয়ে থাকেন। এবার বুধবার (২২ আগস্ট) ঈদুল আজহার প্রথম দিন গেছে।

ঈদুল আজহার প্রথম দিন কসাইয়ের চাহিদা থাকে খুব বেশি। মাংস কাটার জন্য শ্রমিকও পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই কোরবানির জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বেছে নেন।

প্রতিবছরই নিয়ম করে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দেন শনির আখড়া গোবিন্দপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা হাজী আহসান উল্লাহ ভূইয়া। তার ছেলে ইজাজ হোসেন ভূইয়া জানান, আত্মীয়-স্বজন সবাই প্রথম দিন কোরবানি দেন। আমরা দেই দ্বিতীয় দিন। কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত লোকজন পাওয়া যায়। ঝামেলা হয় না।’

পশু কোরবানির পর এর মাংসের একটা অংশ গরীব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া হয়, একটা অংশ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিদের দেয়া হয়। বাকি অংশ নিজেদের জন্য রাখা হয়। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, কোরবানি আল্লাহর নামে দেয়া হলেও কোরবানির মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ গরিবদের, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের ও এক ভাগ নিজেদের জন্য রাখতে হয়।

প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) নিজ পুত্র হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহপাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকে।

আরএমএম/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।