সংসদ চত্বরে ফলেছে আরবের খেজুর, পাহারায় পুলিশ

সিরাজুজ্জামান
সিরাজুজ্জামান সিরাজুজ্জামান , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৭ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৮

জাতীয় সংসদের চত্বরে ফলেছে আরবের খেজুর। একটি গাছে ১৩টি বড় বড় থোকার সেই খেজুর দেখতে ভিড় করছেন উৎসাহীরা। আর খেজুর গাছটির রক্ষণাবেক্ষণ করতে জাল দিয়ে ঘেরাও করে রাখা ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পশ্চিম পাশের সিড়ির পাশেই খেজুর গাছটি। আর সেই গাছ নিয়ে উৎসাহ দেখা দিয়েছে সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও দর্শনার্থীদের। সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) জাগো নিউজকে বলেন, ‘গাছের ধারে কাছে যেন কেউ যেতে না পারেন সেজন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গাছটি পর্যায়ক্রমে পাহারা দেয়া হচ্ছে।’

খেজুর গাছটির বয়স ৬-৭ বছর বলে জানিয়েছেন ফল উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক এস এম কামরুজ্জামান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাত্র একটি গাছ হওয়ায় পুরুষ রেণু ছিটিয়ে গাছটিতে খেজুর ফলানো হয়েছে। ওই গাছ থেকে প্রায় দুই মণ খেজুর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্চ মাসে খেজুর ধরেছে। সেপ্টেম্বর মাসে এসব খেজুর পরিপক্ক হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজারের মতো ১৮টি উন্নত জাতের খেজুর গাছের চারা দেশে আনা হয়েছে। এদের ৮০ শতাংশ নারী জাতের। বাকিগুলো পুরুষ।

জাতীয় সংসদের সহকারী সচিব এ বি এম বিল্লাল হোসেন জানান, বাংলাদেশে খেজুরের চাহিদা প্রচুর। আমরা সবাই খেজুর খাই। কিন্তু গাছ দেখা হয় না। এজন্য সংসদ চত্বরে আরব দেশের খেজুর গাছ দেখতে যাচ্ছেন অনেকে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলে বাংলাদেশেও এটির চাষ হতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিবিদ মাহবুবুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চারা করে আরবীয় খেজুর গাছ লাগাতে হয়। বীজ থেকে খেজুর হবে কি না নিশ্চিত হতে ৫-৬ বছর লেগে যায় এবং পুরুষ গাছ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই টিস্যু কালচারের মাধ্যমে গাছ লাগানো উচিত।’

জানা গেছে, সংসদ এলাকায় ১৩৪টি আম, ১১৯টি কাঁঠাল ও ২৪৯টি নারিকেল গাছ আছে। এছাড়া রয়েছে কয়েক’শ দেশীয় খেজুর গাছ। কিন্তু আরবের খেজুর গাছ শুধু একটিই। সংসদ এলাকার পাশে আরও কয়েকটি আরবের খেজুর গাছ থাকলেও সেসব গাছের খেজুর সংরক্ষণ করা যায় না। তাই ভেতরের গাছটির খেজুর রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এইচএস/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।