ভাষা মতিনের মরণোত্তর দেহদান


প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৪

পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের জন্য মরণোত্তর দেহদান করলেন ভাষা সংগ্রামী আবদুল মতিন।

আবদুল মতিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে রবিবার লিখিতভাবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেহদানের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আবদুল মতিনের স্ত্রী গুলবদন নেসা সোমবার সকালে বলেন, আরও প্রায় ১০ বছর আগেই দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেহদান সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া লিখিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আমি আবদুল মতিন, পিতা মৃত আবদুল জলিল, মাতা মৃত আমেনা খাতুন, স্বেচ্ছায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় আমার মরণোত্তর দেহ বা লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের শিক্ষার্থীদের এনাটমি ও ফিজিওলজি ইত্যাদি শেখার কাজে লাগবে জেনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাজে দেহ সম্পূর্ণ এবং সন্ধানীকে চক্ষু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী ও কন্যাদের সম্মতি রয়েছে। কাজেই মৃত্যুর পরে আমার মৃতদেহ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করার জন্য আমার স্ত্রী ও কন্যাদের নির্দেশ দিচ্ছি।’

আবদুল মতিনের শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই জানিয়ে গুলবদন নেসা বলেন, ‘এই অবস্থায় আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডাক্তাররা। অবস্থার পরিবর্তন না হলে এরপর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হবে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আবদুল মতিনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ২০ আগস্ট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের জমাটবাঁধা রক্ত অপসারণ করা হয়।

৮৮ বছরের এই ভাষা সংগ্রামী ডায়াবেটিস, রিকারেন্স হার্নিয়া ও প্রস্টেট গ্ল্যান্ডসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। ভাষা সংগ্রামী আবদুল মতিনের চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।