সীমান্ত হত্যা কমেছে : বিজিবি
সীমান্ত হত্যা জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজ করছে বিজিবি ও বিএসএফ। এরই ফলশ্রুতিতে ইতিমধ্যে সীমান্ত হত্যা কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক(ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
রোববার বেলা পৌঁনে ১১টায় বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গত ৩-৭ আগস্ট নয়াদিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেয়।
অপরদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী ডি কে পাঠক, আইপিএস এর নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
আজিজ আহমেদ বলেন, ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সম্মেলনে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি, হত্যা ও আহত করাসহ মোট ৯টি বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়।
সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে বিজিবি ডিজি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সীমান্ত হত্যা কমেছে। গত ২০১৪ সালে সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন ৪০ জন। এর মধ্যে বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন ১৬ জন। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত সীমান্তে নিহত হয়েছেন ২৬ জন। এর মধ্যে বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন সাতজন।
তিনি বলেন, বিজিবি আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি ও হামলার কথা বললেও আমরা বলেছি, আইন আছে। আপনারা গ্রেফতার করে দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা নিতে পারেন কিন্তু হত্যা তো করতে পারেন না। বিএসএফ সীমান্ত হত্যা বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেবে বলে বিএসএফকে জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি ডিজি বলেন, ভারতের ওয়েস্টার্ণ ও ইস্টার্ণ দুটি সীমান্ত ফ্রন্ট। ওয়েস্টার্ণ সীমান্ত পাকিস্তানের সঙ্গে। সেখানে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীরও ইনটেনশন থাকে কে কার আগে অস্ত্রের ট্রিগারে চাপ দিতে পারে।
আর আমাদের সীমান্তের সঙ্গে বিএসএফ এর ইস্টার্ণ সীমান্ত ফ্রন্ট। তাদের সঙ্গে আমাদের ইনটেনশনকে অস্ত্রের ট্রিগারে চাপ না দিয়ে থাকতে পারে। এই অবস্থা চলতে থাকে এবং অস্ত্র ও মাদকসহ সব ধরনের চোরাচালান বন্ধ হলে সীমান্ত হত্যা কমে আসবে জানান তিনি।
জেইউ/এএইচ/পিআর