প্রস্তুত হচ্ছে গাবতলী

মুরাদ হুসাইন
মুরাদ হুসাইন মুরাদ হুসাইন , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৮

ঈদের বাকি আর দিন কয়েক। কোরবানি ঈদ, আর তাই ব্যস্ততা এখন পশুর হাট ঘিরে। রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাটটি বসে গাবতলীতে। এ হাট বসবে শুক্রবার থেকে। দেশের সব জায়গা থেকেই গাবতলী হাটে পশু নিয়ে আসেন খামারি-বেপারিরা। গাবতলী পশুর হাট কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত সময় পার করছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে।

রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চলছে হাটের বর্ধিতাংশে প্যান্ডেলের বাঁশ লাগানোর কাজ। বাঁশের খুটি লাগিয়ে ওপরে ত্রিপল বাঁধার কাজ চলছে। কোথাও কোথাও লাইট লাগানোর কাজ চললেও শামিয়ানার কাজ এখনও শেষ হয়নি।

প্রতি বছরের মতো এবারও হাটের ইজারা পেয়েছেন মো. লুৎফর রহমান। মূল হাটের সঙ্গে প্রতি বছরের মতো এবারও যুক্ত হচ্ছে গাবতলী বেড়িবাঁধের পশ্চিমাংশ। থাকবে ১০টি হাসিল ঘর। জায়গা ভাড়া নেয়া বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম ও গবাদি পশু ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে কাজ করছেন নিজ নিজ প্যান্ডেল তৈরির। মন্ডল এন্টারপ্রাইজ এবার জায়গা নিয়েছে হাটের ২ নম্বর গেটে। চলছে গরু বাঁধার জন্য প্যান্ডেল তৈরির কাজ।

gabtoli-(2)

গাবতলীর হাটে বেপারিরা জানালেন, হাটের মূল বেচাকেনা হয় শেষের তিন দিন। তাই তেমন তাড়াহুড়ো এখনো নেই। ইতোমধ্যে হাটের নিয়মিত বিক্রেতারা কিছু কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন। তবে, বিক্রি হয়নি একটিও। য সব গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে তা মাংস ব্যসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পশু কেনা-বেচার ব্যবসা করেন কামাল কাজী। সারা বছর গাবতলীতে ব্যবসা করেন। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে ১০-১২টি করে গরু আনছেন। বর্তমানে তার প্রায় ৩০টি গরু রয়েছে।

কামাল কাজী জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গরু আনছি। এসব গরু হাটে তোলা হবে। গত ঈদে শেষবেলায় ভালো বিক্রি হয়েছে। এবারও তেমনই আশা করছেন এই ব্যবসায়ী।

gabtoli-(3)

পাশেই ছাগল ব্যবসায়ী মো. নূরে আলম জাগো নিউজকে জানান, প্রতিদিনই ছাগল আনছেন, এখনও বিক্রি শুরু হয়নি। মাংস ব্যবসায়ীরা হাটে আসছেন।

গাবতলীর ১নং হাসিল ঘরের ক্যাশিয়ার মো. সোলায়মান জাগো নিউজকে বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বিক্রির হাটের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি থাকবে হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে ভলান্টিয়ার দল। জাল টাকা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ ও প্রতিটি হাসিল ঘরে একটি করে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন থাকবে। পশুর নিরাপত্তায় কয়েকটি দলে পশু চিকিৎসকরা ক্যাম্প করে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে উপস্থিত থাকবেন।

তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার থেকে গাবতলী পশুর হাট শুরু হবে। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। কোরবানির জন্য পশু আসা শুরু হয়েছে। আগামী বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পুরো দমে কোরবানির পশু আসা শুরু হবে। পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেও হাটে কোরবানির পশু আসবে। এ ছাড়াও এ হাটে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল থেকে গরু-ছাগল, ভেড়া, উঠ, দুম্বা আসবে বলে জানান তিনি।

এমএইচএম/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।